• রোববার , ২৪ নভেম্বর ২০২৪

লাইম স্টোনের নামে গ্যাব্রো আমদানি চট্টগ্রামে


প্রকাশিত: ১:৫২ এএম, ৩ মে ২৩ , বুধবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১২৭ বার

সুপিরিয়র রেডিমিক্সের শতকোটি লুটপাট

বিশেষ প্রতিনিধি/চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : লাইম স্টোনের নামে গ্যাব্রো স্টোন আমদানি করে শতকোটি টাকার রাজস্ব লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। কাস্টমস শুল্ক গোয়েন্দাসহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নাকের ডগায় এ লুটপাট চলছে দীর্ঘদিন ধরে। এই স্টোন খালাস চলছে চট্টগ্রামের কুতুবদিয়ায়। সরকারের শত কোটি টাকা লুটপাটের নায়ক ‘সুপিরিয়র রেডিমিক্স’ নামের একটি কোম্পানি। এরা কিভাবে এ অবৈধ কারবার করছে তা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন ব্যবসা্য়ীরা।

এই রেডিমিক্স কোম্পানির কোনো অনুমোদন না থাকলেও এর নামেই দীর্ঘদিন ধরে চলছে অবৈধ ব্যবসা। এর আড়ালে সরকারের শত কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে চলছে ‘সুপিরিয়র রেডিমিক্স’ নামের একটি নাম সর্বস্ব কোম্পানি। এর মালিক অত্যন্ত ধুরন্ধর ও ধরিবাজ। কাস্টমস ও ভ্যাট এর লোকজনের সাখে তার রয়েছে গভীর যোগাযোগ। এদের ম্যানেজ করতে তার লোকবল রয়েছে। এরা নিয়মিত নজরদারি করে কাস্টমস ও ভ্যাটের লোকজনদের। অবৈধ লেনদেন থাকলেও হঠাৎ করে কোনো ঝুট ঝামেলা যাতে না এসে পড়ে সেজন্যও লোক লাগিয়ে রেখেছে ‘সুপিরিয়র রেডিমিক্স’ এর মালিক সাইফুল ইসলাম।

সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সুপিরিয়র রেডিমিক্স নামে কোনো কোম্পানির কারখানা নেই চট্টগ্রামে। অথচ এর নামেই চলছে অবৈধভাবে পাথর আমদানির ব্যবসা। একাধিক রেডিমিক্স কারখানার মালিক অভিযোগ করেছেন, এরা দুবাই থেকে পাথর আমদানি করে। এদের কোনো রেডিমিক্স কারখানা নেই। এরা খাতা কলমের কোম্পানি।
বাস্তবে এদের কোনো কোম্পানি বা কারখানার অস্তিত্ব নাই চট্টগ্রামের কোথায়ও।

অথচ দেখা গেছে, এরা এই নামেই পাথর আমদানি করে আনছে দুবাই থেকে। আমদানিতে দেখাচ্ছে লাইম স্টোন। এর ট্যাক্স হওয়া উচিত ১৩০০ টাকা। কিন্তু কাস্টমস কে ম্যানেজ করে অবৈধ লেনদেন করে ট্যাক্স টন প্রতি কম দিচ্ছে ৬০০ টাকা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এভাবে একটি মাদার ভ্যাসেলে সুপিরিয়র রেডিমিক্স সরকারকে সাড়ে ৩ কোটি টাকা ট্যাক্স ফাঁকি দিচ্ছে। বর্তমানে গত দুদিন ধরে চট্টগ্রামের কুতুবদিয়ায় মালামাল খালাস চলছে মাদার ভ্যাসেল থেকে। কাস্টমস শুল্ক গোয়েন্দাসহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নাকের ডগায় এ লুটপাট চললেও কেউ কোনো আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছে না। অভিযোগ উঠেছে সরকারের শত কোটি টাকা লুটপাটের নায়ক ‘সুপিরিয়র রেডিমিক্স’ নামের এ কোম্পানি কে চট্টগ্রাম কাস্টমস এর একটি অসাধু চক্র কে মোটা অংকের লেনদেনের বিনিময়ে সহযোগীতা করে চলেছে।

কাস্টমস সূত্রের মতে, রেডিমিক্স কারখানার নামে পাথর আমদানি করলে ট্যাক্স কম পড়ে। কারণ, সরকার রেডিমিক্স কারখানাকে একটা সাবসিডি দেয়। এমনিতে সাধারনত যে পাথর আসে সেটার ট্যাক্স পার টন ১৩০০ টাকা। আর লাইম স্টোন (পাথর) যেটা আসে সেটার ট্যাক্স ৭০০ টাকা। এতে দেখা যায় পার টন ট্যাক্স ৬০০ টাকা কম-বেশি।

ভুক্তভোগী একটি মহল এ সম্পর্কে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজ, ভ্যাট কমিশনারেটসহ গোয়েন্দা কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ দিলেও তারা কােন কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়নি বলে জানা গেছে।