র্যাবের খাঁচায় পরিবাগের ক্রিমিনাল রেজা
স্টাফ রিপোর্টার : পরিবাগের ক্রিমিনাল রেজাউর রহমানকে পাকরাও করেছে এলিট ফোর্স র্যাব। জানা গেছে, ভুক্তভোগী জনসাধারনের অভিযোগের ভিত্তিতে র্যাব-২ জানতে পারে যে, এক ব্যাক্তি নিজেকে উচ্চপদস্থ সামরিক/বেসামরিক কর্মকর্তা এবং রাজনৈতিক নেতা সহ বিভিন্ন পরিচয়ে একটি সংঘবদ্ধ অপরাধ চক্রের মাধ্যমে দীর্ঘদিন যাবৎ সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষদের ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ নানাবিধ অপরাধ করে আসছে। উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে র্যাব ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৪ মার্চ র্যাব-২, এর একটি বিশেষ দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজধানীর শাহবাগ থানাধীন পরীবাগস্থ বাসা নং-১২, শেলটেক দ্বীন মঞ্জিল এর সামনে অবস্থান নেয়।ওই সময় পাকা রাস্তায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করার জন্য উক্ত দলের কতিপয় সন্ত্রাসী অবস্থান করছিল।
পরে র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে দৌড়ে পালানোর চেষ্টাকালে আসামী রেজাউর রহমান (৩৮) পিতা-মৃত- ফয়জুর রহমান চৌধুরী, বাসা নং-১২, পরীবাগ, ফ্লাট নং-১৩/এ, থানা শাহবাগ, ডিএমপি, ঢাকাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
গ্রেফতারের সময় আসামী পালানোর চেষ্টা করলে র্যাব ফোর্সের সাথে ধস্তাধস্তি হয় এবং গ্রেফতারকৃত ও তার পরিবার আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্তব্যে বাধা প্রদান করে। উক্ত সন্ত্রাসীর দেহ তল্লাশী করে ০১টি বিদেশী পিস্তল এবং ম্যাগজিনে ০৩ রাউন্ড গুলি লোড অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে বিভিন্ন অপরাধের সাথে তার সংশ্লিষ্টতার বিষয় স্বীকার করেছে। জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানায় যে, সে একটি সংঘবদ্ধ অপরাধ চক্রের মূলহোতা হিসেবে দীর্ঘদিন থেকে নিজেকে সমাজের উচ্চ পদস্থ সামরিক, বেসামরিক পদের কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মন্ত্রীদের নিকট আত্মীয় হিসেবে কখনোবা নিজেই মন্ত্রীবেশে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অফিসে ফোন করে বিভিন্ন ধরনের অবৈধ সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করেছে এবং এই অপচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
এর পাশাপাশি সমাজে উঠতি বয়সী বেকার যুবকদের চাকুরী, টেন্ডার জাতীয় কাজ পাইয়ে দেয়াসহ অবৈধভাবে জমি দখল করার কথা বলে অনেকের কাছ থেকে বিপুল পরিমান অর্থ আত্মসাৎ করেছে। পরবর্তীতে কথা মতো কাজ না করে দেয়ায় ভুক্তভোগীরা টাকা ফেরত চাইতে আসলে তাদেরকে অস্ত্রের মুখে ভয়ভীতিসহ জীবন নাশের হুমকি প্রদান করত। সে নিজে বিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও বিবাহের পরিচয় গোপন রেখে কতিপয় যুবতী মেয়েদেরকে বিভিন্ন অফিসে কাজ পাইয়ে দেয়া সহ উচ্চবিলাসী জীবন যাপনের প্রলোভন দেখিয়ে তাদের সাথে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করত।
এছাড়াও সে তার এলাকায় কোন নতুন ভবন তৈরী, দেওয়াল নির্মাণ করতে গেলে মালিকদের নিকট হতে চাঁদা দাবী করত। গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে আরো অনেক চাঞ্চল্যকর ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে, যা যাচাই বাছাই করে ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।