রোহিঙ্গা ইস্যুতে হাসিনার প্রশংসায় ট্রাম্প
নিউইয়র্ক থেকে ইব্রাহিম খলিল: নিউ ইয়র্কে এক সভার ফাঁকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মধ্যে রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আলোচনায় রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নানা পদক্ষেপের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন ট্রাম্প।
এসময় ডোনাল্ড ট্রাম্প শেখ হাসিনাকে বলেন রোহিঙ্গা সঙ্কটে ‘বাংলাদেশের পাশে থাকবে যুক্তরাষ্ট্র’। সোমবার নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে এক উচ্চ পর্যায়ের সভার ফাঁকে দুই নেতার মধ্যে এ বিষয়ে আলোচনা হয় বলে শহীদুল হক জানান।
ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর এবারই প্রথম জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে মিলিত হচ্ছেন বিশ্ব নেতারা। ট্রাম্পের আয়োজনেই সকালে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে ‘হাই লেভেল মিটিং অন ইউএন রিফর্ম’ শীর্ষক ওই সভা হয়। এবার এমন এক সময়ে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশন বসছে, যখন মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনাবাহিনীর নির্যাতনের মুখে লাখ লাখ রোহিঙ্গার পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিচ্ছেন।
কয়েক যুগ ধরে প্রায় চার লাখ রোহিঙ্গার ভার বহন করে আসা বাংলাদেশের এই দফায় আরও প্রায় চার লাখ শরণার্থী প্রবেশ করেছে। রাখাইনের পরিস্থিতির উন্নতি না হলে এই সংখ্যা ১০ লাখে ঠেকতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ।
হাসিনা-ট্রাম্প আলোচনা প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ‘মিয়ানমার ইস্যুতে আমরা তোমাদের সঙ্গে আছি। অ্যান্ড উই সি হাউ ইট ক্যান বি রিজলভড’।” পররাষ্ট্র সচিব বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি কেমন চলছে তাও ট্রাম্প জানতে চান। এ সময় শেখ হাসিনা ‘ভাল করছে’ বললে ট্রাম্প সন্তোষ প্রকাশ করেন।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ দুপুরে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাত করেন। পররাষ্ট্র সচিব বলেন, “ভারতের সঙ্গে আলোচনাতেও রোহিঙ্গা ইস্যু এসেছে। সুষমা স্বরাজ বলেছেন, ইন্ডিয়া অবশ্যই বাংলাদেশের সঙ্গে আছে সবসময় এবং এই সমস্যা সমাধানে হেল্প করবে।”
রবিবার আবুধাবি থেকে ইতিহাদ এয়ারওয়েজের একই ফ্লাইটে নিউ ইয়র্কে পৌঁছান শেখ হাসিনা ও সুষমা স্বরাজ। বিমানেও তাদের মধ্যে ‘ছোটখাট মিটিং হয়েছে’ বলে জানান শহীদুল হক।ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭২তম অধিবেশনে আগামী ২১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের পক্ষে শেখ হাসিনা তার বক্তব্য তুলে ধরবেন; সেখানে রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধানের বিষয়ে বাংলাদেশের সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব থাকবে।