‘রোহিঙ্গারা বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত নাগরিক’
স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের কুতুপালং ক্যাম্পে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ক্রমান্বয়ে বন্ধ করে দেওয়া হবে অন্যান্য ক্যাম্প। জানালেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি। মন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে ২৩টি ক্যাম্পের মধ্যে ২টি ক্যাম্পের রোহিঙ্গাদের এখানে নিয়ে আসা হয়েছে। চলতি মাসের মধ্যে ২৩টি ক্যাম্পের সব মানুষকে একসঙ্গে নিয়ে আসা সম্ভব হবে বলে আশা করছি।
মায়া বলেন, গত ২৫ আগস্ট থেকে ৪ অক্টোবর পর্যন্ত পাঁচ লাখের বেশি রোহ্ঙ্গিা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। এর মধ্যে ৬১ হাজার শরণার্থীর ইতোমধ্যে বায়োমেট্রিক নিবন্ধন হয়েছে।সংবাদ সম্মেলনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিব মো. শাহ কামাল বলেন, বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গারা এখন থেকে ‘বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিক’ হিসেবে পরিচিত হবেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আমাদের চিঠি দিয়ে এটা জানিয়েছে। আমরা এখন থেকে এটাই ব্যবহার করব।
মিয়ানমারের রাখাইনে সেনাবাহিনীর দমন অভিযানের মুখে গত ২৫ আগস্ট থেকে পাঁচ লাখের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। তারা বলছেন, মিয়ানমার সেনাবাহিনী রোহিঙ্গা অধ্যুষিত গ্রামগুলোতে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে মানুষ মারছে। রোহিঙ্গা নারীদের ধর্ষণ করা হচ্ছে, জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে গ্রামের পর গ্রাম। মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চি সেনা অভিযানকে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে লড়াই হিসেবে বর্ণনা করলেও জাতিসংঘ একে চিহ্নিত করেছে ‘জাতিগত নির্মূল অভিযান’ হিসেবে।