‘রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে চাপ দিন’
কূটনৈতিক রিপোর্টার : বাংলাদেশে থাকা মিয়ানমারের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতে দেশটিকে চাপ দিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, প্রতিবেশী মিয়ানমারের নাগরিকদের মানবিক কারণে বাংলাদেশে আশ্রয় দেয়া হয়েছে। মিয়ানমারের এ বিপুলসংখ্যক নাগরিক বাংলাদেশের জন্য একটি বড় বোঝা। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে তার সঙ্গে ইন্দোনেশিয়ার নতুন রাষ্ট্রদূত রিনা প্রিথিয়াসমিয়ারসি সোয়েমারনোর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ কথা বলেন। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম পরে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আমাদের নীতি অত্যন্ত স্পষ্ট যে, অন্য কোনো দেশে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড সৃষ্টিতে আমাদের ভূমি ব্যবহার করতে দেয়া হবে না। ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত মানবিক কারণে মিয়ানমারের বিপুলসংখ্যক নাগরিককে কয়েক দশক ধরে বাংলাদেশে স্থান দেয়ার জন্য সরকারের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, এ ইস্যুতে বাংলাদেশ সঠিক কাজই করেছে।
১৯৭২ সালের মে মাসে বাংলাদেশ এবং ইন্দোনেশিয়ার মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ওই সময় থেকে দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ ও সহযোগিতামূলক সম্পর্ক বিরাজ করছে। এ সময় প্রধানমন্ত্রী দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মধ্যে বৃহত্তর অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, এর মাধ্যমে উভয় অঞ্চলের দেশগুলো লাভবান হবে।
এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত ও নেপালের মধ্যে চার জাতির সড়ক যোগাযোগ সংক্রান্ত বিবিআইএন চুক্তি এবং বাংলাদেশ, চীন, ভারত ও মিয়ানমারের মধ্যে বিসিআইএম অর্থনৈতিক করিডোরের কথা উল্লেখ করেন। ইন্দোনেশিয়ার নতুন রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করেন।
এ সময় গত কয়েক বছরে ইন্দোনেশিয়ার অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি পাওয়ার কথা তুলে ধরেন তিনি। আগামীতে বাংলাদেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক সহযোগিতার ক্ষেত্র আরও বিস্তৃত হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। নিজের দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির কথা তুলে ধরতে গিয়ে ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত ৫০ আসনের উড়োজাহাজ তৈরিতে সাফল্য অর্জনের কথা বলেন।
ইহসানুল করিম জানান, বৈঠকে বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়ার মধ্যে সরাসরি বিমান চলাচলের বিষয়ে কথা হয়। এছাড়া বাংলাদেশে ১৬০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার এলএনজি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র নির্মাণে ইন্দোনেশিয়ার আগ্রহের কথা রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছেন বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব।