রিহ্যাবে লুটপাটে ধরা আল আমিন
বিশেষ প্রতিনিধি : অনিয়মের দায়ে রিহ্যাবের পরিচালক প্রকৌশলী আল আমিনকে রিহ্যাব টেনিং ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের তদন্তে নেমে প্রাথমিকভাবে সত্যতা পাওয়ায় রিহ্যাব পরিচালনা পর্ষদ এ সিদ্ধান্ত নেয়। পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার পর প্রকৌশলী আল আমিন রিহ্যাব ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান পদটি অর্জন করেন।
তারপর থেকে সেখানকার যাবতীয় খরচ তার তত্ত্বাবধানে পরিচালিত ও নিয়ন্ত্রিত হয়ে আসে। বেশ কিছু দিন ধরেই এই ইনস্টিটিউটের কেনা-কাটা ও অন্যান্য খাতের আর্থিক লেনদেনে বড় ধরণের অনিয়মের অভিযোগ আসছিল । দরপত্রে কারসাজি আবার কোন কোন জায়গায় দরপত্র ছাড়াই প্রকোশলী আল আমিন কেনাকাটা করেছেন। বিশেষ করে রাজধানীর ধোলাইখাল থেকে এক লাখ ৮০ হাজার টাকার জেনারেটর তৈরি করে সেখানে বিল তোলা হয়েছে নয় লাখ টাকা, এছাড়া ফার্নিচার, কম্পিউটার ও অন্যান্য কেনাকাটায় বড় ধরনের অনিয়মের অভিযোগ ওঠে।
প্রকৌশলী আল আমিন রিহ্যাব টেনিং ইনস্টিটিউটে চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করলেও সেখানে তিনি অফিস করতেন না। তিনি রিহ্যাব টেনিং ইনস্টিটিউটের সকল কাজ তার নিজস্ব প্রতিষ্ঠানে পরিচিত ভেন্ডরদের ডেকে নিয়ে সেখানে কাজের দেনদরবার করতেন এবং পরিচিত লোকদের দিয়ে কাজ করাতেন।
লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে রিহ্যাব কর্তৃপক্ষ ৫ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে। জেনারেটর ক্রয় ও সার্ভিস সংক্রান্ত, ফার্নিচার ক্রয়, ডেক্সটপ ক্রয়, ল্যাপটপ ক্রয় ও কিশোরগঞ্জ আইয়ুব হেনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের আর্থিক অনিয়ম- বিষয়ে কাজ শুরু করে তদন্ত কমিটি। রিহ্যাবের গভর্নিং বডির ও রিহ্যাব ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের অর্থ ও ক্রয় সংক্রান্ত উপকমিটির ৫ সদস্য অনিয়ম তদন্তের দায়িত্ব পান । তারা তদন্ত করে এ সব অনিয়ম পান এবং রিহ্যাব বরাবর তদন্ত দাখিল করেন।
এছাড়া প্রকৌশলী আল আমিন তার নিজের ভাতিজাকে রিহ্যাবে পিয়ন পদে চাকুরি দেন বলে অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, প্রকৌশলী আল আমিন রিহ্যাব সদস্য পদ থেকে বহিষ্কৃত ব্যাক্তি সাইদুল ইসলাম বাদলের সাথে গভীর ভাবে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেন।
সাইদুল ইসলাম বাদল ইয়াবা সহ ধরা পড়ে এবং বিভিন্ন জাল-জালিয়াতির ও প্রতারণামূলক মামলার কারণে জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার দেশ থেকে পালিয়ে যান। সম্প্রতি সেই সাইদুল ইসলাম বাদলের সাথে আমেরিকা গিয়ে দেখা করেন প্রকৌশলী আল আমিন। অভিযোগের বিষয়ে প্রকৌশলী আল আমিন এর অফিসে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন ধরেন ধরেননি।