• মঙ্গলবার , ১০ জুন ২০২৫

‘রিলিফখোর ছাড়া আটকেপড়া পাকিস্তানীরা এখন বাংলাদেশী’


প্রকাশিত: ১০:১১ পিএম, ২৬ অক্টোবর ২১ , মঙ্গলবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৩৮০ বার

মিরপুর প্রতিনিধি : সম্প্রতি নেদারল্যান্ডস্ এর রাষ্ট্রদূতের সাথে সাক্ষাৎ প্রদানের সময় ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের অপেক্ষাকৃত অনগ্রসর, অবহেলিত ও মজলুম উর্দূভাষী বিহারী মুসলমান জনগোষ্ঠীকে ঢালাও ভাবে “আটকেপড়া পাকিস্তানী” নাম দেয়ায় বিষয়ে ও উদ্বেগ প্রকাশ করে আজ (মঙ্গলবার) এক বিবৃতি প্রদান করেছেন বাংলাদেশী বিহারী পূণর্বাসন সংসদ (বিবিআরএ) এর প্রধান পৃষ্ঠপোষক নেয়াজ আহমদ খান, কেন্দ্রীয় সভাপতি মোঃ কাওসার পারভেজ ভুলু, সেক্রেটারী জেনারেল মোঃ হানিফ খান। বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেছেন, ‘রিলিফখোর ছাড়া আটকেপড়া পাকিস্তানীরা এখন বাংলাদেশী’।

একটি সংঘবদ্ধ রিলিফখোর চক্র ছাড়া বাংলাদেশের কোন তথাকথিত আটকেপড়া পাকিস্তানী এর অস্তিত্ব নেই বলে দাবী করেছেন বিবিআরএ নেতৃবৃন্দ। বিবৃতিতে বরা হয়, দেশের সকল বিহারী ক্যাম্পের উর্দূভাষী বিহারী মুসলিম বাসিন্দাগণ ২০০৬ ও ২০০৮ সালে তাদের নাম সরকার ও দেশবাসীর পূর্ণ সহযোগীতায় ভোটার তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করেছেন। ২০০৬ সালের পর হতে তারা সকল নির্বাচনে বাংলাদেশের নাগরিক মর্যাদায় ভোট প্রদান করেছেন এবং নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা করেছেন উল্লেখ করে প্রশ্ন তুলেছেন যে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এখন বিহারীদের পূণর্বাসনের পরিবর্তে “আটকেপড়া পাকিস্তানী” আবিষ্কার করছেন কেন? বিবৃতিতে বিবিআরএ নেতৃবৃন্দ তথাকথিত আটকেপড়া পাকিস্তানী দাবীদারদের ইমিগ্রেশন আইনে গ্রেফতারের দাবী পূনর্ব্যক্ত করেছেন ও সরকারকে জনস্বার্থে অবিলম্বে তথাকথিত ‘আটকেপড়া পাকিস্তানী’দের তালিকা প্রকাশ করে জনমনে সৃষ্ট বিভ্রান্তি দুর করার দাবী জানিয়েছেন।

এদেশের অতিথিপরায়ন মানুষের সাথে উর্দূভাষী বিহারীদের হাজার বছরের সম্পর্কে কোন মহলই নষ্ট করতে পারবে না বলে বিবৃতিতে বিহারী নেতৃবৃন্দ দাবী করেছেন এবং বলেছেন যে, উর্দূভাষী বিহারী মুসলমানগন এদেশের মানুষের জন্য কোন কালেই বোঝা ছিলেন না। এ অঞ্চলের মানুষের মুক্তি সংগ্রামের অগ্রজ ও সর্বস্থ ত্যাগী উর্দূভাষী বিহারী মুসলমানদের দ্রুত পূনর্বাসনের জন্য সোচ্চার হতে দেশবাসীর প্রতি বিবিআরএ নেতৃবৃন্দ তাদের বিবৃতিতে আহবান জানিয়েছেন।

নিপিড়ীত ও নির্যাতিত রোহিঙ্গা মুসলমানদের আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ অনন্য মানবিকতা প্রদর্শন করায় বিহারী নেতৃবৃন্দ সরকার ও দেশবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেছেন যে, পৃথিবীর সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম রাষ্ট্র ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট সুহার্তো’র পতনের কয়েকদিনের মধ্যে ইন্দোনেশিয়ার একাংশ ভেঙ্গে “ইষ্ট তিমুর” নামক রাষ্ট্রের জন্ম হলেও রোহিঙ্গা মুসলমানদের বেলায় দীর্ঘ সুত্রিতা প্রমান করছে যে, বিশ্বের অনেক নেতাই শান্তি প্রতিষ্ঠায় যথেষ্ট সক্রিয় ও আন্তরিক নন। “বিশ্বে আজ মুসলমানরাই শরনার্থী” -সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রোহিঙ্গা প্রসঙ্গে দুঃখে ভরা কথা স্মরণ করে বিবিআরএ নেতৃবৃন্দ রোহিঙ্গাদের তাদের দেশে ফিরিয়ে নেয়া ও বাংলাদেশের কষ্ট লাঘবে দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য বিশ্ব নেতাদের আহবান জানিয়েছেন।
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ঐতিহ্যে ক্ষত সৃষ্টি করার অপপ্রয়াসকে নিন্দা জানিয়ে বিহারী নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে সিমান্ত হত্যা ও আসামে মুসলিম নির্যাতন বন্ধের দাবী জানিয়েছেন।