• সোমবার , ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

‘রায়ে বাস্তব সত্যির জয় হয়নি’


প্রকাশিত: ৮:০৮ পিএম, ৯ নভেম্বর ১৯ , শনিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৪৪১ বার

 

ডেস্ক রিপোর্টার : অবশেষে উত্তর প্রদেশের অযোধ্যার বিরোধীপূর্ণ বাবরি মসজিদের জমি মন্দির নির্মাণে হিন্দুদের দিতে নির্দেশ দিয়েছে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। রামের জন্মভূমি ট্রাস্ট এখন জমিটির অধিকারী হবে।আর নতুন একটি মসজিদ নির্মাণে মুসলমান সম্প্রদায়কে শহরেই আলাদা একখণ্ড পাঁচ একরের জমি বরাদ্দ দিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এদিকে রায় নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমেন।এমনকি এই জমি নিতে আপত্তি জানিয়েছেন অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমেন (এআইএমআইএম) প্রেসিডেন্ট আসাদউদ্দিন ওয়েইসি। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি এই রায়ে সন্তুষ্ট নই। রায়ে বাস্তব সত্যির জয় হয়নি। আমরা আমাদের আইনি অধিকারের জন্য লড়ছি।

শনিবার ভারতের প্রধান বিচারক রঞ্জন গগৈর নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের সাংবিধানক বেঞ্চ সর্বসম্মতিতে এ রায় দিয়েছেন। হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ ভারতে গত কয়েক দশকে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘাতের কেন্দ্রবিন্দু ছিল এই বিরোধপূর্ণ জমি।সেখানে হিন্দুদের দেবতা রামের জন্মভূমি বলে দাবি করা হয়েছে। ১৯৯২ সালে মসজিদটি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয় কট্টর হিন্দুত্ববাদীরা। তখন দাঙ্গায় দুই হাজারের বেশি লোক নিহত হয়েছেন।

আগামী ১৭ নভেম্বর অবসরের আগে কয়েক দশকের এই আইনিবিরোধীদের নিষ্পত্তি করলেন রঞ্জন গগৈ। বেঞ্চের অন্য সদস্যরা হলেন, বিচারপতি এসএ বোবডি, ডিওয়াই চন্দ্রাচুড, অশোক ভুষান ও এস আবদুল নাজের।ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারকে একটি প্রকল্প গঠন করতে বলেছে শীর্ষ আদালত।এই প্রকল্পের অধীন একটি সংস্থা গঠন করে তিন মাসের মধ্যে বাবরি মসজিদের জমির ভেতর ও বাইরের প্রাঙ্গন রামজন্মভূমি ট্রাস্টকে হস্তান্তর করতেও বলা হয়েছে। অযোধ্যার বিখ্যাত কোনো স্থানে একটি মসজিদ নির্মাণে পাঁচ একরের একখণ্ড জমি মুসলমানদের দিতেও রায়ে বলা হয়েছে।

ভারতে বহুল আলোচিত বাবরি মসজিদ মামলার রায় নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমেন (এআইএমআইএম) প্রেসিডেন্ট আসাদউদ্দিন ওয়েইসি।তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি এই রায়ে সন্তুষ্ট নই। রায়ে বাস্তব সত্যির জয় হয়নি। আমরা আমাদের আইনি অধিকারের জন্য লড়ছি। আমাদের যে খয়রাতির পাঁচ একর জমি দিতে চাওয়া হয়েছে সেটা দরকার নেই। ভারতের মুসলমানরা চাইলে এমন অনেক জমি দিতে পারে।’আসাদউদ্দিন ওয়েইসি আরো বলেন, ‘আমরা আমাদের আইনি অধিকারের জন্য লড়ছি। আমার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত, আমাদের এই পাঁচ একর জমির প্রস্তাব খারিজ করা উচিত। তবে মুসলিম বোর্ড কী সিদ্ধান্ত নেবে সেটা তাদের বিষয়।’

শনিবার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টায় বহু প্রতীক্ষিত অযোধ্যার বাবরি মসজিদ মামলার রায় দেন ভারতের সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈর। রায়ে জমিটি মন্দির নির্মাণের জন্য দেওয়া হয়। অন্যদিকে, অযোধ্যার কেন্দ্রের কোথাও সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে পাঁচ একর জমি দেওয়ার কথা বলা হয়। সেখানে তারা মসজিদ নির্মাণ করতে পারবেন।ষোড়শ শতকে নির্মিত বাবরি মসজিদটি ১৯৯২ সালে গুঁড়িয়ে দেয় উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা। মসজিদটি ভাঙা নিয়ে ওই বছর হিন্দু-মুসলমান দাঙ্গায় ভারতজুড়ে তিন হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়।