• শনিবার , ২৩ নভেম্বর ২০২৪

রাষ্ট্রদূতরা সীমা লঙ্ঘন করলে ব্যবস্থা: শাহরিয়ার


প্রকাশিত: ৩:২২ এএম, ৬ জুন ২৩ , মঙ্গলবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৫০ বার

কূটনৈতিক রিপোর্টার : বাংলাদেশে কর্মরত বিদেশি রাষ্ট্রদূতরা সীমা লঙ্ঘন করলে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। সোমবার (৫ জুন) পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে তিনি এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, রাষ্ট্রদূতরা তাদের নিয়মিত কাজের বাইরে কোনো ধরনের কর্মকান্ডে জড়িত হন, সেটা হবে সীমা লঙ্ঘন। এটা আমলে নিয়ে তাদের বিরুদ্ধো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।

বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইয়ামা কিমিনোরি গত রোববার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনে কার্যালয়ে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এর একদিন আগে জাপানি রাষ্ট্রদূত নির্বাচন কমিশনে যান। সেখাতে তিনি বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ জানতে চান প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের কাছে।

রাষ্ট্রদূতরা এ ধরনের কাজ করতে পারেন কি না জানতে চাওয়া হয় শাহরিয়ার আলমের কাছে। মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তিনি প্রায়ই বিএনপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন এবং নির্বাচন ইস্যুতে বক্তব্য দেন। এসব বিষয় সরকার কিভাবে দেখছে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমার বিস্তারিত জানা নেই।

আজ থেকে ছয় মাস আগে একটি পরিস্থিতি গিয়েছে। কেউ কেউ (ঢাকায় কর্মরত বিদেশী রাষ্ট্রদূত) তখন দায়িত্বের বাইরে গিয়ে কাজ করেছেন। সেটা সরকারের নজরে এসেছে। যদি ঢাকায় কর্মরত কোনো দেশের রাষ্ট্রদূত আবারও সে ধরনের কোনো কর্মকা-ে জড়িত হন, যেটা আমরা মনে করব যে তারা (রাষ্ট্রদূত) সীমা লঙ্ঘন করে ফেলছেন। সীমা লঙ্ঘনী কর্মকান্ড আমলে নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এদিকে একই সংবাদ সম্মেলনে সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছে লেখা দেশটির ছয় কংগ্রেসম্যানের ‘কথিত’ চিঠিটি দুর্বল ও সস্তা বলে আখ্যা দিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। মার্কিন প্রেসিডেন্টের কাছে ছয় কংগ্রেসম্যানের চিঠি সরকার কীভাবে দেখছে জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, আমরা চিঠিটা সংগ্রহ করেছি।

অন্যান্য চিঠিপত্রের মতো এখানেও অসামঞ্জস্য আছে। অন্যান্য চিঠির মতো বাড়াবাড়ি আছে। বাংলাদেশের গণতন্ত্র এবং আমাদের সরকারের অবস্থা সম্পর্কে তথ্যের একটা বড় ধরনের ঘাটতি আছে। মার্কিন কংগ্রেসম্যানদের প্রচেষ্টা দুর্বল ও সস্তা। কংগ্রেসম্যানদের চিঠি বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে ফাটল ধরাতে পারবে না।

ভারতের পার্লামেন্টে অখন্ড ভারতের যে মানচিত্রের ম্যুরাল স্থাপন করা হয়েছে তা নিয়ে বাংলাদেশের বক্তব্য কি? বাম দলগুলো এর প্রতিবাদ করলেও সরকার নীরব কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, এটি (ভারতের পার্লামেন্টে অখন্ড ভারতের মানচিত্র) অনেক আগের। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে দিল্লির বাংলাদেশ দূতাবাসকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

শাহরিয়ার আলম সাংবাদিকদের বলেন, ভারতের পার্লামেন্টে অখন্ড ভারতের যে মানচিত্রের ম্যুরাল নিয়ে কথা হচ্ছে তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করার কোনও কারণ নেই। তারপরেও বাড়তি ব্যাখ্যার জন্য আমরা দিল্লির মিশনকে বলেছি ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলতে, তাদের (মোদী সরকার) আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা কী তা জানার জন্য।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা যেটা জেনেছি ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেছেন যে, এটি অশোক সা¤্রাজ্যের মানচিত্র, এটি খ্রিষ্টের জন্মের তিনশ বছর আগের। সেই সময়ের যে অঞ্চলটি ছিল, তার একটি মানচিত্র এবং এটি একটি ম্যুরাল। ওই ম্যুরালে চিত্রায়ন করা হয়েছে মানুুষের যাত্রা। এখানে সাংস্কৃতিক মিল থাকতে পারে। কিন্তু এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই।