• বৃহস্পতিবার , ২ মে ২০২৪

রাজধানী ও নিউ রাজধানী সুপার মার্কেটে চাঁদাবাজির নেপথ্যে মঞ্জু নয় বাবুল বাহিনী


প্রকাশিত: ৯:৫৬ পিএম, ২৯ আগস্ট ১৫ , শনিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১৩৯ বার

rajdhani super-www.jatirkhantha.com.bdবিশেষ প্রতিবেদক.এস রহমান:    রাজধানী ও নিউ রাজধানী সুপার মার্কেটে চাঁদাবাজির নেপথ্যে ময়নুল হোসেন মঞ্জু নয় বাবুল বাহিনী জড়িত। সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এই বাহিনীর প্রধান আজমল হোসেন বাবুল।বিএনপির শাসনামলে এই বাহিনীর সদস্যরা অবৈধভাবে তিন শতাধিক দোকানের মালিক বনে যায়। ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পরও এই বাহিনী নিজেদের দোকান বেশী থাকার কারণে আধিপত্য বিস্তার করে আসছিল। এর  জের ধরেই বাবুল বাহিনী পুনরায় মার্কেট কমিটি দখল করার পাঁয়তারা করে নিজেদের দোকানদারদের দিয়ে জিডি করাচ্ছে স্থানীয় ওয়ার্ড কমিশনার ময়নুল হোসেন মঞ্জু’র বিরুদ্ধে।
ওয়ারী থানা পুলিশ জানায়, ওয়ার্ড কমিশনারের বিরুদ্ধে কাজ করছে রাজাকার বাবুল বাহিনী।এই বাহিনীর সদস্যরা ইতিমধ্যে ৮টি জিডি করেছে।খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, জিডির উদ্দেশ্য চাঁদাবাজি মূল নয় বরং তারা চায় মার্কেট কমিটির সভাপতির পদ থেকে ময়নুল হক মনজুরকে সরানো।
ওয়ারী থানার ওসি তপন কুমার সাহা জাতিরকন্ঠকে জানান, ওয়ান ইলেভেনে রাজধানী সুপার মার্কেটে কোটি কোটি টাকার বিদুত বিল চুরির দায়ে গ্রেফতারকৃত আজমল হোসেন বাবুল ওরফে রাজাকার বাবুল এর সাঙ্গ-পাঙ্গরা নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করার জন্য মার্কেটে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্ঠি করছে।ওরা চাঁদাবাজির নামে ওয়ার্ড কমিশনারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে। তারপরও আমরা সব অভিযোগ খতিয়ে দেখতে আদালতের অনুমতি প্রার্থনা করেছি।
এ সম্পর্কে সরেজমিনে তদন্তকারী থানার এস আই মাহমুদ জাতিরকন্ঠকে জানান, তিনি ব্যবসায়ীদের ৮টি জিডির তদন্ত করছেন।তদন্তকালে তিনি সরেজমিনে মার্কেটে যান।সেখানে গিয়ে দেখেন মার্কেটের একটি গলি ছাড়া সব গলির দোকানদাররা ওয়ার্ড কমিশনার ময়নুল ওরফে মঞ্জুর পক্ষে। তিনি জানতে পারেন ওই গলির ব্যবসায়ীরা রাজাকার বাবুলের সহযোগী এবং তার সুবিধাভোগী।এদের মধ্যে উল্রেখযোগ্যরা হচ্ছে নজরুল ইসলাম মিলন, আবুল হোসেন মানিক, আবু বকর সিদ্দিক, হাফিজুর রহমান,সাখাওয়াত হোসেন,হাজী মোঃ সেন্টু চৌধুরী, ফজলুল হক বিপ্লব প্রমুখ।এরাই ওয়ার্ড কমশিনারের বিরুদ্ধে জিডি করেছে।
এই জিডিকারীরাই রাজধানীর ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগের নেতা ময়নুল হক মনজুরের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, হয়রানি ও নির্যাতনের হাত থেকে বাঁচার দাবি জানিয়েছেন।

এদিকে আজ শনিবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে ব্যবসায়ীরা তাঁদের লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন। এতে ওই দুই মার্কেটের রাজাকার বাবুলের সহযোগী ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।লিখিত বক্তব্যে মার্কেটের ব্যবসায়ী মো. সাখাওয়াত হোসেন দাবি করেন, ‘চার বছর ধরে মার্কেটের কমিটি দখল করে নানা কৌশলে চাঁদাবাজি করে আসছেন ময়নুল। কেউ চাঁদা না দিলে তাঁকে ধরে নিয়ে মারধর করা হয় এবং তাঁর দোকানে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়।’এ অবস্থায় ব্যবসায়ীরা প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পুলিশের মহাপরিদর্শক, র‍্যাবের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ দাবি করেন।
এ ব্যাপারে কাউন্সিলর আওয়ামী লীগের নেতা ময়নুলের সঙ্গে কথা বলা হলে তিনি জাতিরকন্ঠকে রাজাকার বাবুল বাহিনীর নেপথ্য অবৈধ ক্রিয়াকলাপ তুলে ধরে ঘটনার মূল রহস্য ও চাঁদাবাজির প্রতিকার চান। তিনি বলেন, চাঁদাবাজির সঙ্গে তাঁর কোন সম্পর্ক নেই।রাজাকার বাবুল বাহিনী মার্কেট কমিটি দখল করার জন্য চাঁদাবাজির ধুয়া তুলছে। বাবুল বাহিনীর এই কাজে তাদের সহযোগীতা করছে কতিপয় পুলিশ-র ্যাব সোর্স এবং বাবুলের ভাই ও ভাতিজারা।তিনি বলেন, চাঁদাবাজি হলে আমিই ব্যবস্থা নেব।কারণ, আওয়ামী লীগ চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে বরাবরই সোচ্চার।