রাঙামাটিতে কারফিউ জারি
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, আজ সন্ধ্যার পর রাঙামাটি শহরের বিভিন্ন এলাকায় সহিংসতার খবর পাওয়া যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সান্ধ্য আইন জারি করা হয়। সান্ধ্য আইন জারির পরপরই সারা শহরে মাইকে তা প্রচার করা হয়। মাইকে সবাইকে নিজ নিজ বাড়িতে চলে যেতে বলা হয়। আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে সান্ধ্য আইনে ‘যা করা সম্ভব, তা করা হবে’ বলে প্রচার করা হয়।
রাঙামাটি মেডিকেল কলেজের শিক্ষাকার্যক্রম শুরু করাকে কেন্দ্র করে গতকাল শনিবার ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সঙ্গে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সংঘর্ষ হয়। পরে তা বাঙালি-আদিবাসী সহিংসতায় রূপ নেয়।
এর জের ধরে শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় রাঙামাটি পৌরসভা এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। কিন্তু তারপর রাঙামাটি শহরের বিভিন্ন এলাকায় বিচ্ছিন্নভাবে সহিংসতা ঘটতে থাকে। এ পরিপ্রেক্ষিতে বেলা সাড়ে তিনটায় জেলা প্রশাসন সম্মেলনকক্ষে আইনশৃঙ্খলা সভা শুরু হয়।
জেলা প্রশাসক শামসুল আরেফিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সাংসদ ঊষাতন তালুকদার, নারী সাংসদ ফিরোজা বেগম চিনু, রাঙামাটি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা, সেনাবাহিনীর রাঙামাটি জোন অধিনায়ক লে. কর্নেল মালিক সামস উদ্দিন মুহাম্মদ মঈন, ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার আবুল কালাম আজাদ, রাঙামাটি সদর উপজেলা চেয়ারম্যান অরুন কান্তি চাকমা, পৌরসভার চেয়ারম্যান মো. সাইফুল ইসলাম চৌধুরীসহ মেডিকেল কলেজের পক্ষে-বিপক্ষে অবস্থানকারী রাজনৈতিক দল, পেশাজীবী ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।