রাখে আল্লা মারে কে?
পাটুরিয়া প্রতিনিধি : রাখে আল্লা মারে কে-মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরলেন এক অসহায় নারী আসমা। লঞ্চে ওঠার সময় অসাবধানতাবশত পা পিছলে নদীতে পড়ে যান আসমা। ইতোমধ্যে ডুবে বেশকিছুটা দূরে চলে গেছেন। সাথে স্বামী সন্তান ছিল। তারা ঠিক ছিলেন। আসমা পড়ে যাওয়ার সাথে সাথেই লঞ্চঘাটে থাকা ফায়ার সার্ভিসের কর্মী আনোয়ার ও ভবেশ চন্দ্র সরকার ঝাপিয়ে পড়েন নদীতে। প্রায় ২০ থেকে ৩০ ফিট দূর থেকে ডুবন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় তাকে।
শনিবার ভোর পৌনে ৪টার দিকে স্বামী লিটন হোসেন ও ছয় মাসের ছেলে শিশু সন্তানকে নিয়ে ঈদ করতে মাগুরা জেলার বিনোদপুর গ্রামে যাচ্ছিলেন আসমা বেগম। লোকাল বাসে করে ঢাকা থেকে পাটুরিয়া লঞ্চঘাট এসে লঞ্চে উঠার সময় এ ঘটনা ঘটে।
আসমা বলেন, তারাহুড়ো করে লঞ্চে উঠতে গিয়ে পড়ে যাই নদীতে। এসময় আমার ছয় মাসের ছেলে তার বাবার কোলে ছিল। আমি সাঁতারও জানি না।
ভেবেছিলাম হয়তো আর বাঁচবো না। আল্লাহর কাছে হাজার শুকরিয়া তিনি আমাকে রক্ষা করেছেন। এছাড়া ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের কাছেও আমি চিরকৃতজ্ঞ বলে জানান আসমা।
আসমার স্বামী লিটন জানান, নারায়ণগঞ্জের একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেন তিনি। চাকরি থেকে দেরিতে ছুটি পাওয়ার কারণে দেরিতেই বাড়ি ফেরা। তবে সরকার ও স্থানীয় প্রশাসন লঞ্চঘাট এলাকায় ফায়ার সার্ভিসের এমন একটি টিম রাত-দিন বহাল থাকায় প্রাণে বেঁচে যায় আসমা। এসময় তিনি সবার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মী আনোয়ার হোসেন বলেন, ওই নারী নদীতে পড়ে যাওয়ার পর আমার সঙ্গে সঙ্গে সহকর্মী ভবেশও নদীতে ঝাপিয়ে পড়েন। পরে তার ভেসে থাকা ওড়না ও বোরকা শনাক্ত করে নদী থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়।