• বুধবার , ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪

রবিবার থেকে বিএনপিতে একচুল’ও ছাড় দেয়া হবে না: কাদের


প্রকাশিত: ১১:১৫ পিএম, ৩০ ডিসেম্বর ২২ , শুক্রবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৪৫ বার

বিশেষ প্রতিনিধি : বিএনপির প্রতি হুশিয়ারি উচ্চারণ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আওয়ামী লীগ আক্রমণ করবে না। তবে আক্রান্ত হলে পাল্টা জবাব দেওয়া হবে। তিনি বলেন, বিএনপি আন্দোলনের নামে অনেক নৈরাজ্য করেছে। আগামী এক বছর তাদের আর একচুলও ছাড় দেওয়া হবে না। শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) রাজধানীর শ্যামলী স্কয়ার প্রাঙ্গণে মোহাম্মদপুর থানা আওয়ামী লীগের সমাবেশে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন। ১০ ডিসেম্বরের মতো বিএনপির নেতৃত্বে ৩৩ দলের এবারের কর্মসূচিও ব্যর্থ হয়েছে দাবি করে কাদের বলেন, আগে বড়লোকদের বাড়ির গেইটে লেখা থাকতো ‘কুকুর হইতে সাবধান’। এখন দেশের জনগণ বলেছে ‘তারেক রহমান হইতে সাবধান’।

বিএনপির সমালোচনা করে তিনি আর বলেন, বিএনপি বলে তারা রাষ্ট্র মেরামত করবেন। বিএনপি এ রাষ্ট্রকে ধ্বংস করেছে। এ রাষ্ট্রের গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। এ রাষ্ট্রের স্বাধীনতার আদর্শকে ধ্বংস করেছে। রাষ্ট্রের অর্থপাচার করেছে বিএনপি। এ ষড়যন্ত্রকারীরা রাষ্ট্র মেরামত করবে? এরা নষ্ট রাজনীতি করে। যারা নষ্ট রাজনীতি করে তারা রাষ্ট্র মেরামত করতে পারে না।

এসময় বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, পদ্মা সেতু পার হয়ে তিন ঘণ্টায় খুলনায় সমাবেশ করতে যান। এখন পদ্মা সেতুতে উঠছেন কেন? আপনাদের দেশনেত্রী তো বলেছে পদ্মা সেতু জোড়াতালি দিয়ে হয়েছে। এই সেতু এখন কেন ব্যবহার করেন? লজ্জা করে না? ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির নেতৃত্বে ৩৩ দলের কর্মসূচি ব্যর্থ হয়েছে। বিএনপি দেশের রাজনীতি নষ্ট করেছে। ক্ষমতায় থেকে লুটপাট দুর্নীতি করেছে। তাই তাদের রাষ্ট্র মেরামতের স্লোগান জনগণের সাথে প্রতারণা।

বিএনপি ক্ষমতায় থেকে লুটপাট, সন্ত্রাস, হত্যাকান্ড আর জঙ্গি তৈরি করেছে। তাই তাদের পক্ষে বিবৃতিদাতাদেরও সমালোচনা করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।
এসময় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ফারুক খান বলেন, ১০ ডিসেম্বর থেকে খালেদা জিয়ার কথায় দেশ চলবে এমন হাঁকডাক দিয়েছিলো বিএনপি। কিন্তু তাদের সেই কর্মসূচি ব্যর্থ হয়েছে। তাই এখন জামায়াতকে সঙ্গে নিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে বিএনপি মাঠে নেমেছে।

শ্যামলীর সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি প্রমুখ। শ্যামলী ছাড়াও এদিন ঢাকার উত্তরা, মহাখালী, ফার্মগেট, মিরপুর, গাবতলী, মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্বর, রামপুরা, বাড্ডা ইউলুপ এবং যাত্রাবাড়ী এলাকায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের সমন্বয়ে বিভিন্ন টিম সতর্ক পাহারায় ছিল। দুপুরের পর প্রতিটি স্পটে ঢাকা মহানগর, থানা এবং ওয়ার্ডের নেতাকর্মীদের উপস্থিতি সমাবেশে রূপ নেয়।