• বুধবার , ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪

যৌন হয়রানির কথা বললে পদোন্নতি বন্ধ


প্রকাশিত: ১২:৫৩ পিএম, ৫ ডিসেম্বর ১৪ , শুক্রবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৭০ বার

 

চাক হেগেলঅনলাইন ডেস্ক: মার্কিন সেনাবাহিনীতে যৌন হয়রানির ঘটনা ঘটছে হরহামেশাই। কিন্তু কেউ এ ব্যাপারে টুঁ শব্দটি করেছে তো মরেছে। একঘরে হয়ে থাকতে তো হবেই, আটকে যাবে পদোন্নতিও। একই সঙ্গে সুযোগ-সুবিধা কমে যেতে পারে, এমনকি পদাবনতিও হতে পারে। গতকাল বৃহস্পতিবার পেন্টাগনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

সম্প্রতি পরিচালিত এক জরিপের ফলাফলের ভিত্তিতে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

আজ শুক্রবার এএফপির এক খবরে জানানো হয়, মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী চাক হেগেল সাংবাদিকদের জানান, সেনাবাহিনীতে যখন কেউ যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন বলে জানান, তখন তিনি এ ব্যাপারে গুরুত্ব ও সহায়তা দেওয়ার প্রয়োজন মনে করেন। তাঁরা একঘরে হতে বা শাস্তি পেতে চান না। তিনি বলেন, এই সমস্যাকে গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করতে হবে। কারণ যৌন হয়রানির ঘটনা মার্কিন সেনাবাহিনীর মূল্যবোধকে নষ্ট করে। উর্দি পরা অবস্থায় ভাই ও বোনদের রক্ষা করা সেনাবাহিনীর দায়িত্ব। পেন্টাগনপ্রধানের পদ থেকে সম্প্রতি হেগেল পদত্যাগ করার ঘোষণা দিয়েছেন।
পেন্টাগন পরিচালিত জরিপের কথা জানিয়ে হেগেল বলেন, এ বছর মার্কিন সেনাবাহিনীতে যৌন হয়রানির ঘটনা ৮ শতাংশ বেড়েছে। যৌন হয়রানির শিকার ৬০ ভাগ সেনাসদস্য জানিয়েছেন, অভিযোগ করার পরে ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষ বিভিন্নভাবে তাঁদের শাস্তি দিয়েছে। ২০১৩ সালে সামরিক বাহিনীর সাড়ে পাঁচ হাজার সদস্য এমন অভিযোগ করেন। আর এ বছর ছয় হাজার সেনাসদস্য একই অভিযোগ করেছেন।
সেনাবাহিনীর পরিচালিত গোপন এক জরিপে জানা যায়, যৌন হয়রানির শিকার ৬২ শতাংশ নারী জানিয়েছেন, অভিযোগ করার পরে তাঁদের শাস্তি দেওয়া হয়েছে অথবা দুর্ব্যবহার করা হয়েছে। অভিযোগ করার পরে এই নারীদের সেনাসদস্য হিসেবে পাওয়া সুযোগ-সুবিধা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এমনকি তাঁদের পদোন্নতি দেওয়া হয়নি, প্রশিক্ষণ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে নিচু পদে বদলি করা হয়েছে। নাম প্রকাশ না করে একজন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা জানান, ১৯ হাজার সেনাসদস্য জানিয়েছেন তাঁরা অনাকাঙ্ক্ষিত যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে অর্ধেক পুরুষ।
গত তিন বছর মার্কিন সেনাবাহিনীতে বেশি যৌন হয়রানির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনা চরম অবমাননাকর বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। এরপর পেন্টাগন যৌন হয়রানি বন্ধে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেয়। যৌন হয়রানির শিকার সেনাসদস্যদের আইনি সহায়তা জোরদার করার ব্যবস্থা নেওয়া হয়। সেনাবাহিনীর বিচারব্যবস্থা সংস্কারের প্রস্তাবও অনুমোদন করেছে কংগ্রেস। হেগেল মনে করেন, এ কারণে গত দুই বছরে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। অতিরিক্ত মদ্যপানের কারণেও সেনাবাহিনীতে যৌন হয়রানির ঘটনা বাড়ছে। তাই এ ব্যাপারেও নিয়ন্ত্রণ আনার কথা ভাবছে পেন্টাগন।