• শনিবার , ৪ মে ২০২৪

যৌতুক না পেয়ে ইলেক্ট্রিক টেস্টার দিয়ে চোখ উপড়ে ফেলা হয়েছে


প্রকাশিত: ৯:১৪ পিএম, ২২ জুলাই ১৫ , বুধবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৬৩ বার

sukhi-www.jatirkhantha.com.bd বিশেষ প্রতিবেদক.ঢাকা: সাভারে যৌতুক না পেয়ে ইলেক্ট্রিক টেস্টার দিয়ে চোখ উপড়ে ফেলা হয়েছে এক গৃহবধূর। স্বামী, দেবর ও ননদ ঈদের আগের দিন সুখী নামে ওই গৃহবধূর ওপর এ নৃশংসতা চালায়। চিকিৎসকরা বলছেন,

একটি চোখ চিরতরেই নষ্ট হয়ে গেছে সুখী’র, আরেকটি চোখ দিয়ে সুখী পৃথিবীর আলো দেখতে পাবেন কি না- তার আশাও ক্ষীণ। সুখীর পরিবার এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেছেন।যেকোনো প্রশ্নে এখন শুধু একরাশ চোখের জল ফেলেই উত্তর দেন সুখী। সেখানে কোন শব্দচয়ন না থাকলেও, চোখ বেয়ে গড়িয়ে পড়া সুখীর নীরব কান্না বলে দিচ্ছে অনেক কিছু।

ঈদের আগের দিন, যৌতুকের টাকা না পেয়ে স্বামী রবিউল, তার ভাই ইদ্রীছ আলী, আখতার ও বোন ধলী বেগম ইলেক্ট্রিক টেস্টার দিয়ে এক চোখ তুলে নেয় সুখীর। আরেকটি চোখকে খুঁচিয়ে করা হয় রক্তাক্ত। এ সময় সুখীর আট বছরের মেয়ে লুবনাকে পাঠানো হয় দোকানে। সুখীর মা বাবা জানান, এর আগেও স্বামীর নির্যাতনের শিকার হন তিনি।

সুখীর বাবা জানান, তিনি আগেও মেয়ের জামাইকে ৩ লাখ টাকা দিয়েছেন। মেয়ে তাকে কয়েকদিন আগে আবারও স্বামীর টাকা চাওয়ার কথা জানিয়েছেন।এদিকে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইন্সটিটিউটে ভর্তি করার পর সুখীর উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করতে গঠন করা হয়েছে মেডিকেল বোর্ড।

ডাক্তার জানলেন, একটি চোখ উপড়ে ফেলা হয়েছে, অন্যটিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আগের চেয়ে কিছুটা উন্নতি করলেও চোখে দেখতে পারবেন কি না- তা নিশ্চিত নয়।তবে স্বল্প আয়ের সুখীর পরিবার দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসা চালিয়ে যেতে সমাজের বিত্তবানদের সহায়তা চেয়েছেন। একই সাথে আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তিরও দাবি জানান তারা।

আপডেট ২২-০৭-২০১৫ ১৮:৩৭:৩১