• বুধবার , ২৭ নভেম্বর ২০২৪

‘যেটুকু সময় তুমি থাকো পাশে’ মিতালীকে সিটিব্যাংকের ‘গানে গানে গুণীজন সংবর্ধনা’


প্রকাশিত: ৫:০১ এএম, ১০ অক্টোবর ১৫ , শনিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১৫৭ বার

এস রহমান:  গানে গানে আশির দশকে মেতেছিল বাংলাদেশ–যেটুকু সময় তুমি থাকো পাশে- মিতালীর এই গানটাই বাংলাদেশীদের মাতিয়ে রাখে ৩০ বছর।ভোলেনি সিটি ব্যাংকও; তাইতো মিতালীকে তাঁরা বাংলাদেশে নিয়ে এল।দেয়া হলো সিটিব্যাংকের ‘গানে গানে গুণীজন সংবর্ধনা’। বাংMitali-www.jatirkhantha.com.bdলাদেশ ভুলেনি মিতালীকে।

যে মিতালী ময়মনসিংহ শহরের মেয়ে। ভারতে পড়তে গিয়ে বিয়ে হলো পাঞ্জাবি ছেলের সঙ্গে। বিয়ের পর ঠিকানা হলো শ্বশুরবাড়ি। ঠিকানা বদল হলেও ‘বাপের বাড়ি’র প্রতি ভালোবাসা এখনও অটুট।

শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত হয় এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠান। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। উপস্থিত ছিলেন খ্যাতিমান শিল্পী শাহনাজ রহমতউল্লাহ, সৈয়দ আবদুল হাদী, চিত্রনির্মাতা nay_আমজাদ হোসেন প্রমুখ। ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও কান্ট্রি অফিসার রাশেদ মাকসুদসহ সিটিব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। ২০০৪ সাল থেকেই নিয়মতিভাবে গুণী সঙ্গীতশিল্পীদের সংবর্ধনা দিচ্ছে সিটিব্যাংক এনএ।

অনুষ্ঠানের শুরুতে চলচ্চিত্র নির্মাতা আমজাদ হোসেন অনুজ মিতালী মুখার্জির শিল্পী হয়ে ওঠার দিনগুলোর স্মৃতিচারণ করেন। স্পিকারের হাত থেকে সংবর্ধনা পদক নেওয়ার পর মিতালী সংক্ষিপ্ত কথায় অনুভূতি প্রকাশ করেন। এরপর শুরু হয় গান। গানে গানে কেটে যায় পুরো সন্ধ্যা। গানের ফাঁকে ফাঁকে কথা বলেনnay_8774_166495_0 মিতালী।তিনি বলেন, ‘এই অনুষ্ঠানের ভিডিও শ্বশুরবাড়ির লোকদের দেখাব। তারা বুঝবেন বাপের বাড়ির মানুষেরা আমাকে কত ভালোবাসেন। বিয়ের পরও আমাকে পর করে দেননি।’

অনুভূতি প্রকাশের সময় আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন মিতালী মুখার্জি। কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, বাংলাদেশে এলে সবাই জিজ্ঞাসা করে, ‘তুমি চইল্যা গেলা ক্যান?’ এটাই আমার বড় অর্জন। এখনও সবাই আমাকে মনে রেখেছেন। আমার বাবা অমূল্য মুখার্জি মৃত্যুর সময় আমার শ্বশুরবাড়ি মুম্বাইয়ে ছিলেন। শেষ ইচ্ছার কথা জিজ্ঞাসা করেছিলাম। শুধু বলেছিলেন, ‘আমারে ময়েনসিংয়ের মাটিতে নিয়া চল।’

মিতালীর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তারই জনপ্রিয় গানগুলো পরিবেশন করেন নতুন প্রজন্মের শিল্পী দিলদাম নাহার কণা।
এরপর আবারও মঞ্চে আসেন মিতালী। দর্শক সারি থেকে অনুরোধ আসে, ‘যেটুকু সময় তুমি থাকো পাশে’ গানটি গাওয়ার জন্য। অনুরোধে সাড়া দিয়ে গানটি ধরতেই দর্শকরাও গলা মেলান। খোদ স্পিকারও তাতে যোগ দেন। গানের মাঝেই মিতালী বলে ওঠেন, ‘শ্বশুরবাড়ির মানুষেরা দেখুক, আমার বাপের দেশের মানুষেরা শুধু কাজ করে না, গানও গাইতে জানে।’

এরপর একে একে গেয়ে শোনান আঞ্চলিক ভাষার গান ‘আমার পরান জুড়াইয়া গ্যাছে’, আধুনিক বাংলা ‘দুঃখ দিতেই ফিরে এলাম’। মৃত ভাইয়ের স্মরণে পরিবেশন করেন, ‘কেন আশা বেঁধে রাখি’। বারবার বাংলা মায়ের কোলে ফিরে আসার প্রতিশ্রুতি দিয়ে গান শেষ করেন মিতালী।