‘যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল সরিয়ে নিলে সর্বজনগ্রাহ্য হবে না’
হাইকোর্ট রিপোর্টার : যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কার্যক্রম বন্ধ করে পুরাতন হাইকোর্ট ভবনের দখল সুপ্রিম কোর্টের অনুকূলে হস্তান্তর করা হলে বর্তমান প্রেক্ষাপটে তা সর্বজনগ্রাহ্য হবে না। বরং সুপ্রিম কোর্ট দেশবাসীর কাছে প্রশ্নবিদ্ধ হবে। এই কারণে পুরাতন হাইকোর্ট ভবনের দখল হস্তান্তর করার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করতে সুপ্রিম কোর্টকে চিঠি দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়।
আজ রবিবার বিকালে এ সংক্রান্ত চিঠি সুপ্রিম কোর্টে এসে পৌঁছায়। এর আগে গত ১৮ আগস্ট সুপ্রিম কোর্ট এই চিঠি দিয়ে যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল অনত্র্য সরিয়ে নিয়ে পুরাতন হাইকোর্ট ভবন সুপ্রিম কোর্টকে বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য বলা হয়েছিল।
ওই চিঠিতে বলা হয়েছিল উচ্চ আদালতের বিচারপতিদের এজলাশ ও খাস কামরার সংকট, পর্যাপ্ত অফিসরুম না থাকার বিষয়ে উল্লেখ করে পুরাতন হাইকোর্ট ভবন স্থানান্তর করতে বলা হয়। সুপ্রিম কোর্টের এই চিঠির জবাবে আজ আইন মন্ত্রণালয় পাল্টা চিঠি দিয়ে বলেছে, ২০০৯ সাল থেকে এই ভবনে কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এখনো বিচার কাজ চলছে।
এর ফলে এই ভবনটির ঐতিহ্য বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে। জনগণ চায় যে, এই ভবনটি ঐতিহাসিক বিধায় এর মর্যদাকে সমুন্বত রেখে ভবনটিকে সংরক্ষণ করা হোক। এবং একইসঙ্গে যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল এখান থেকে সরানো হলো জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হবে। দেশের সঠিক উন্নয়নের ধারাবাহিকতার ক্ষেত্রে ভবন হস্তান্তর প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করবে।