• বৃহস্পতিবার , ২৮ নভেম্বর ২০২৪

যুদ্ধাপরাধী সাঈদীর বাড়তি সুবিধা নাকচ


প্রকাশিত: ৫:৫৯ পিএম, ২৮ জুন ১৮ , বৃহস্পতিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১২৬ বার

কোর্ট রিপোর্টার :  বাড়তি সুবিধা চেয়েছিলেন যুদ্ধাপরাধী সাঈদী। কিন্তু আদালত নাকচ করে দিয়েছেন সাঈদীকে। কারাগারে saydee-www.jatirkhantha.com.bdডিভিশন চেয়ে জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর করা রিট খারিজ করেছেন হাইকোর্ট। আজ বৃহস্পতিবার (২৮ জুন) বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপাতি মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আমৃত্য কারাদণ্ড ভোগরত দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর রিট আবেদনের ওপর উভয়পক্ষের শুনানি শেষে গতকাল আদেশের জন্য বৃহস্পতিবার আদেশের দিন ধার্য রাখেন আদালত।সাঈদীর পক্ষে আবেদনের শুনানি করেন আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

এর আগে সাঈদীর বড় ছেলে শামীম সাঈদীর পক্ষে আইনজীবী তানভির আহমেদ আল আমিন গত ২৪ জুন হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট আবেদনটি করেন।সাঈদীর ছেলে মাসুদ সাঈদী বলেন, জেল কোডের ১৯২ পৃষ্ঠার ১৫নং অধ্যায়ের ক্লাসিফিকেশন শিরোনামের অধীন ৬১৭নং বিধি অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর আমার বাবা ডিভিশন পাওয়ার অধিকারী।

এসব বিষয় উল্লেখ করে আমরা জেল কর্তৃপক্ষ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বরাবর আবেদন করেছিলাম। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর এখন প্রায় চার বছর হতে চলেছে, কিন্তু তাকে ডিভিশন দেয়া হয়নি। ২০১৫ সালে প্রথমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করি। কারা কর্তৃপক্ষের মতামতসহ আমরা সর্বশেষ গত ৮ মার্চ আবারও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করি।

কিন্তু এখন পর্যন্ত তাকে ডিভিশন না দেয়ায় আমরা গত রবিবার আদালতে রিট পিটিশন দায়ের করি।  বর্তমানে কাশিমপুর কারাগারে বন্দি রয়েছেন দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী। ডিভিশনের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে করা আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, তার বয়স বর্তমানে ৭৯ বছর। তিনি দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগে আক্রান্ত। তার হার্টের করোনারিতে পাঁচটি রিং পরানো রয়েছে।

গ্রেফতার হওয়ার পর কারাগারে অসুস্থ অবস্থায় তার হার্টে তিনটি রিং পরানো হয়। তিনি আর্থাইটিস রোগে ভুগছেন। তার হাঁটু ও কোমরে প্রচণ্ড ব্যথা। বর্তমানে অন্যের সাহায্য ছাড়া তিনি উঠতে-বসতে ও চলাফেরা করতে দারুণ কষ্টের সম্মুখীন হচ্ছেন। ইদানিং তিনি বুকে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করছেন।
প্রসঙ্গত, মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ২০১৩ সালে ২৮ ফেব্রুয়ারি দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে মৃত্যুদণ্ড দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। পরে ২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগের পাঁচ বিচারকের বেঞ্চ সাজা কমিয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেন। পরে আপিলের রায় রিভিউ চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ ও সাঈদী পৃথক আবেদন করেন। ২০১৭ সালের ১৫ মে রিভিউর রায়ে সাঈদীর আমৃত্যু কারাদণ্ড বহাল রাখেন আপিল বিভাগ।এর আগে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের এক মামলায় ২০১০ সালের ২৯ জুন গ্রেফতার হন তিনি।