মোস্তাফিজ ছাড়া সবাই ওয়াশ- নতুন বছরের লজ্জা’ দিল ওরা
প্রিয়া রহমান :
হেরেই গেল সাকিবরা।মোস্তাফিজ ছাড়া সবাই ওয়াশ’ড হয়ে গেল। ওরা-হতাশ করল দেশবাসীকে। সেই পুরনো বাংলাদেশ। নতুন বছরের লজ্জা’য় পড়ল বাংলাদেশ। বাংলাদেশের বোলিংয়ে যা কিছু ভালো, তাঁর বেশির ভাগের সঙ্গেই জড়িয়ে মোস্তাফিজের নাম। ৮ উইকেটে হেরে গেছে বাংলাদেশ।
৩৯ ওভারে ২১৮ রান করে ফেলেছে নিউজিল্যান্ড। উইকেট পড়েছে মাত্র ২টি! দুটি উইকেটই মোস্তাফিজের। ইনিংসের দ্বিতীয় ও নিজের প্রথম ওভারে এলবিডব্লু করেছিলেন টম ল্যাথামকে, পরে ৩৫তম ওভারে তাঁর বলেই গালিতে মাশরাফির ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন নিল ব্রুম। বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে আলো যা ছড়ানোর, সেটি তো ছড়ালেন এক মোস্তাফিজই ।
ইমরুল কায়েস এখন নিশ্চয়ই আক্ষেপে পুড়ছেন, ‘ইশ! ক্যাচটা যদি ধরতে পারতাম!’ ইনিংসের চতুর্থ ওভারেই মোস্তাফিজের বলে স্লিপে সহজ ক্যাচ দিয়েছিলেন নিল ব্রুম। কিন্তু সহজ ওই ক্যাচটাই ধরতে পারেননি ইমরুল। ব্রুম তখন আউট হলে, কে জানে, হয়তো এখন অনেক বেশি চাপে থাকত নিউজিল্যান্ড। তখনও যে একটা রানও করেননি তিনি!
সেই ব্রুম শেষ পর্যন্ত নিজেও আক্ষেপে পুড়েছেন— আউট হয়েছেন ৯৭ রানে। তবে তার আগে বাংলাদেশি বোলারদের নাকের জল, চোখের জল এক করে ছেড়েছেন। কি স্পিন, কি পেস বোলিং—কোনো কিছুতেই যেন তাঁর কোনো নির্বিকার নেই। তাঁকে সঙ্গত দিচ্ছেন কেন উইলিয়ামসনও। এই প্রতিবেদন লেখার সময়ে কিউই অধিনায়ক অপরাজিত ছিলেন ৯০ রানে। তাঁর সঙ্গী জিমি নিশাম অপরাজিত ১৩ রানে।
তৃতীয় উইকেটে ব্রম-উইলিয়ামসনের ১৭৯ রানের জুটিই ম্যাচে ‘প্রায় শূন্যের কোঠা’য় থাকা বাংলাদেশের জয়ের সম্ভাবনাটা নামিয়ে এনেছেন শূন্যতে। অথচ ব্যাটিংয়ের শুরুতেই নিউজিল্যান্ড পেয়েছিল জোড়া ‘আঘাত’! মোস্তাফিজের বলে ল্যাথাম আউট হওয়ার পরের ওভারেই ‘রিটায়ার্ড হার্ট’ হয়ে ফিরে যান আরেক ওপেনার মার্টিন গাপটিলও। হ্যামস্ট্রিংয়ে টান পড়েছে তাঁর।
এই জোড়া আঘাতের পরের ওভারেই ব্রুমের ক্যাচটা মিস করেছেন ইমরুল। কে জানে, তা না হলে ম্যাচের সমীকরণটা কি থাকত! হয়তো তখনো জয়ের সম্ভাবনা থাকত না বাংলাদেশের, তবে প্রতিদ্বন্দ্বীতার আমেজ তো থাকত। অবশ্য শুধু ইমরুলের ওই ক্যাচ মিসই নয়, বাংলাদেশ খেলোয়াড়দের একের পর এক মিস ফিল্ডিংও বেশ চোখে লেগেছে।
বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে মোস্তাফিজ আলো কেড়েছেন সবচেয়ে বেশি। সেটি শুধু উইকেট দুটি পেয়েছেন বলেই নয়, ৯ ওভারে মোস্তাফিজ দিয়েছেন মাত্র * রান। অধিনায়ক মাশরাফি ৭ ওভার বল করেছেন, রান দিয়েছেন ৩৬। তাসকিনের ৬ ওভারে এসেছে ৩১ রান। সাকিব অনেক খরচে বোলিং করছেন আজ, ৮ ওভারে রান দিয়েছেন ৫৫। আর তানবীরের ২ ওভার থেকে এসেছে ২০ রান। এর বাইরে সাব্বির ৩ ওভারে দিয়েছেন ২০ রান, মোসাদ্দেকের ৪ ওভারে এসেছে ২৬ রান।