• শুক্রবার , ১৫ নভেম্বর ২০২৪

মেয়রের ‘গুলিতেই শিমুল মারা গেছেন সাংসদের অভিযোগ


প্রকাশিত: ১:৩৯ পিএম, ৪ ফেব্রুয়ারি ১৭ , শনিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৬৬ বার

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি : পৌর মেয়র হালিমুল হকের ‘গুলিতেই’ সাংবাদিক আবদুল হাকিম (শিমুল) shajadpur mp sapon-www.jatirkhantha.com.bdমারা গেছেন বলে অভিযোগ করেছেন সিরাজগঞ্জ ৬ আসনের সাংসদ হাসিবুর রহমান। তিনি বলেন, পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের আওয়ামী লীগ-সমর্থিত পৌর মেয়র হালিমুল হক গুলি ছুড়েছেন।

আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শাহজাদপুর পাইলট মডেল উচ্চবিদ্যালয় মাঠে সাংবাদিক আবদুল হাকিম ও তাঁর নানি রোকেয়া বেগমের জানাজা সম্পন্ন হয়। আবদুল হাকিমের মৃত্যুর খবর শুনে হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তাঁর নানি। জানাজা শেষে আজ দুজনের মরদেহ মাদলা গ্রামের কবরস্থানে দাফন করা হবে।

পৌর মেয়র হালিমুল হক জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। তিনি সাংবাদিক হত্যা মামলার আসামি। নিহত সাংবাদিকের স্ত্রী নুরুন নাহার বেগম গতকাল শুক্রবার শাহজাদপুর থানায় হত্যা মামলা করেছেন। এতে মেয়র হালিমুল হক, তাঁর দুই ভাইসহ ১২ জনের নাম উল্লেখ করে মোট ১৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার সংঘর্ষের পর পুলিশ পৌর মেয়রের লাইসেন্স করা শটগান জব্দ করে এবং তাঁর ভাইকে আটক করে। পৌর মেয়র ঘটনার পর থেকেই পলাতক। এ ঘটনায় আজ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ নিয়ে গ্রেপ্তার হয়েছেন ছয়জন।

সাংবাদিকের জানাজার আগে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য দেন সাবেক সাংসদ চয়ন ইসলাম, যুবলীগের আন্তর্জাতিক-বিষয়ক উপদেষ্টা সাজ্জাদ হায়দার, শাহজাদপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফজল এ খোদা লিটন, শাহজাদপুর সার্কেল সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আবুল হাসনাত প্রমুখ।

আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা-কর্মীরা বলছেন, নেতাদের দলীয় আধিপত্য বিস্তার আর ক্ষমতার প্রভাবের কারণে শাহজাদপুরে বৃহস্পতিবার সংঘর্ষ ও গোলাগুলি হয়েছে। তাঁরা বলছেন, বর্তমানে শাহজাদপুরে আওয়ামী লীগের রাজনীতি দুই ভাগে বিভক্ত। এক পক্ষে বর্তমান সাংসদ ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসিবুর রহমান। অপর পক্ষে সাবেক সাংসদ চয়ন ইসলাম ও শাহজাদপুরে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত পৌর মেয়র হালিমুল হক।

বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও শাহজাদপুরের পৌর মেয়র হালিমুল হকের ছোট ভাই পিন্টু পৌর শহরের কালীবাড়ি মোড়ে কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি কান্দাপাড়া মহল্লার বাসিন্দা বিজয় মাহমুদকে (১৮) বেদম মারধর করেন। বিজয় সাংসদ হাসিবুর রহমানের অনুসারী।

বিজয়কে মারধরের খবর ছড়িয়ে পড়লে তাঁর সমর্থনে মহল্লার লোকজন ও আওয়ামী লীগের একাংশ এবং কলেজের ছাত্ররা একজোট হয়ে বেলা তিনটার দিকে মেয়রের বাড়িতে হামলা চালায়। এতে দুই পক্ষে সংঘর্ষ বাধে। এ সময় গুলি ও বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের আওয়াজ শোনা যায়। সংবাদ সংগ্রহের জন্য ঘটনাস্থলে যাওয়া সাংবাদিক আবদুল হাকিম মাথায় গুলিবিদ্ধ হন। গতকাল ঢাকায় নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।

সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে আবদুল হাকিমের লাশের ময়নাতদন্ত হয়। সিভিল সার্জন শেখ মনজুর রহমান বলেন, হাকিমের খুলিতে একটি গুলি পাওয়া গেছে। এদিকে সাংবাদিক হত্যার প্রতিবাদে শাহজাদপুর উপজেলায় আজ শনিবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অর্ধদিবস হরতাল পালন করেছে উপজেলা ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগ।