মেসিরা হারলেও রোনালদোর সতীর্থরা বাজিমাত করলো ইউরোতে।
স্পোর্টস রিপোর্টার : মেসিরা হারলেও রোনালদোর সতীর্থরা বাজিমাত করলো ইউরোতে।ফ্রান্সের নীল সমুদ্রে পর্তুগীজদের লাল রং এমনভাবে ছড়ালো তা দেখে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়ে রইলেন গ্রিজম্যানরা।
২৪ মিনিটের মাথায় দলের সেরা খেলোয়াড়কে হারিয়েও বিজয়ীর নাম ওই পর্তুগাল। কে ভেবেছিল এই ম্যাচ জিততে পারে তারা? গত রাতের ম্যাচসেরা পেপে কিন্তু বলছেন, ‘আমাদের বিশ্বাস ছিল পারবো। আমি সতীর্থদের বারবার বলছিলাম ট্রফিটা রোনালদোর জন্যই জিতবো।’
পর্তুগাল কাল ইতিহাসের পাতায় নাম লিখিয়েছে। তাদের ফুটবল ইতিহাসে এই প্রথম কোনো বড় শিরোপা জেতার নজির। কিন্তু শুরুটা হয়েছিল একদম হতাশার। এলোমেলো ফুটবলের পাশাপাশি এভরার কড়া ট্যাকলে কাঁদতে-কাঁদতে মাঠ ছাড়েন রোনালদো।
নির্ধারিত সময়ে খেলা শেষ না হলে পরবর্তী ৩০ মিনিটে চলে যায় ম্যাচ। সেখানে প্রথম ১৫ মিনিটও অমীমাংসিতভাবে শেষ হয়। দ্বিতীয় ১৫ মিনিটের প্রথম দিকে দারুণ এক গোল করে দেশকে আনন্দে ভাসান এডার।
‘রোনালদোকে হারিয়ে আমাদের জন্য কাজটা কঠিন হয়ে গিয়েছিল। সব আশা তাকে ঘিরেই ছিল। কেননা সে যে কোনো সময় গোল করতে পারে।’ ম্যাচ শেষে বলেন পেপে।
‘রোনালদো মাঠ ছাড়ার সময় আমি বলছিলাম ম্যাচটা ওর জন্যই জিততে হবে। কোচিং স্টাফও দারুণ সহযোগিতা করেছে। আমরা রক্ত ঢেলে চোখের জলে এই জয় এনেছি।’
পেপের মতো ম্যাচের গোলদাতাও রাতে রোনালদোকে স্মরণ করেছেন। তিনি জানিয়ে যান গোল করার রহস্য, ‘রোনালদো আমাকে বলেছিল আমিই জয়সূচক গোলটি করবো। তার কথায় অনুপ্রাণিত হয়েছিলাম।’
ওদিকে যার জন্য এত কিছু তিনি কিন্তু ইনজুরিতে আক্রান্ত হয়ে সাজঘরে ছিলেন না। খোঁড়াতে খোঁড়াতে সারাক্ষণ কোচের পাশে ছিলেন। ডাগআউট থেকে দলকে নির্দেশনা দিচ্ছিলেন। ম্যাচ শেষে বলেন, ‘পর্তুগাল জিতবে কেউ বিশ্বাস করেনি। কিন্তু আমরা জানতাম এই জয় আমাদের প্রাপ্য।’
রোনালদোর কথার কিন্তু সত্যতা আছে। ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে এসে বলেছিলেন, ‘ফাইনালে ফ্রান্স ফেভারিট। কিন্তু জিতবে পর্তুগাল। স্বাগতিক হলেই সব সময় জেতা যায় না।’