• শুক্রবার , ৩ মে ২০২৪

মৃত্যুঞ্জয়ী শেহরিন ঢামেক বার্ন ইউনিটে


প্রকাশিত: ৭:৫৮ পিএম, ১৫ মার্চ ১৮ , বৃহস্পতিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১০৭ বার

 

 

মেডিকেল রিপোর্টার  :  মৃত্যুঞ্জয়ী শেহরিন ঢামেক বার্ন ইউনিটে ভর্তি হয়েছেন। নেপালের কাঠমান্ডুতে ইউএস-বাংলার বিমান বিধ্বস্তে গুরুতর আহত বাংলাদেশী শেহরিন sharin-www.jatirkhantha.com.bd.1আহমেদকে বৃহস্পতিবার (১৫ মার্চ) বিকাল ৩টা ৪৮ মিনিটে বাংলাদেশ বিমানের বিজি০০৭২ ফ্লাইটে তাকে ঢাকা আনা হয়।এর আগে নেপালের স্থানীয় সময় দেড়টায় ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেন।

দেশটির কাঠমান্ডু মেডিকেল কলেজ (কেএমসি) হাতপাতাল কর্তৃপক্ষ অনাপত্তি দেয়ায় তাকে দেশে ফিরিয়ে আনা হলো। পরে ঢাকা হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে একটি অত্যাধুনিক অ্যাম্বুলেন্সে করে শেহরিন আহমেদকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। বার্ন ইউনিটের আইসিইউয়ের পাঁচ নাম্বার বেডে তাকে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন।

তিনি বলেন, তার শারীরিক অবস্থা পর্যালোচনার পর সার্বিক বিষয় নিয়ে বার্ন ইউনিটের তৃতীয় তলায় অবস্থিত হল রুমে সংবাদমাধ্যমকে ব্রিফিং করা হবে। এর আগে শেহরিনকে বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সটি বিকেল ৫টা ৫ মিনিটে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এসে পৌঁছায়। পরে তাকে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। এ সময় বার্ন ইউনিটে শেহরিনের পাশে উপস্থিত ছিলেন তার মা ফেরদৌসী মোস্তাক।

sharin-www.jatirkhantha.com.bdএর আগে নেপালের কাঠমান্ডু থেকে বিমান বাংলাদেশের বিজি-০৭২ ফ্লাইটটি শেহরিনকে নিয়ে বিকেল ৩টা ৪৭ মিনিটে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে ল্যান্ড করে।ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক সার্জেন্ট বার্ন ইউনিটের পার্থ শংকর পাল বলেন, ‘আমাদের সকল ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। এর আগেও আমাদের এখানে পুড়ে যাওয়া রোগীর ট্রিটমেন্ট দেওয়া হয়েছে। কাজেই কোনো ধরনের সমস্যা হবে না।

এর আগে দুপুর ২টায় এক সংবাদ সম্মেলনে শেহরিনকে ঢাকায় আনার কথা জানান বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম নাইম হাসান।প্রসঙ্গত, ঢাকা থেকে ৬৭ জন যাত্রীসহ ৭১ জন আরোহী নিয়ে সোমবার দুপুরে কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন বিমানবন্দরে নামার সময় ইউএস-বাংলার ফ্লাইট বিএস-২১১ রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে এবং আগুন ধরে যায়। এতে ৫১ জন আরোহী নিহত হন। উড়োজাহাজে চার ক্রুসহ ৩৬ জন বাংলাদেশি ছিলেন। এদের ২৬ জনই নিহত হয়েছেন। উড়োজাহাজের ক্রুরা সবাই নিহত হন।