• মঙ্গলবার , ২৬ নভেম্বর ২০২৪

মুক্তিযোদ্ধার কুলাঙ্গার ছেলের র্কীতি!


প্রকাশিত: ৭:০৯ পিএম, ১৪ অক্টোবর ১৯ , সোমবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১৫২ বার

স্টাফ রিপোর্টার / বগুড়া প্রতিনিধি : একেই বলে কুলাঙ্গার! যে মুক্তিযোদ্ধা বাবার কারণে ছেলের সরকারি চাকরী মিলেছিল সেই কুলাঙ্গার ছেলে মুক্তিযোদ্ধা বাবার কবর দখল করে বানিয়েছিল টয়লেট। কিন্তু বিধিবাম-শেষরক্ষা হয়নি ওই কুলাঙ্গার ছেলের। বিক্ষুদ্ধ স্বাধীনতাকামী জনগন ওই কুলাঙ্গারের টয়লেট ভেঙ্গে গুরিয়ে দিয়েছে। এ ঘটনা ঘটেছে-বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলায়-। মুক্তিযোদ্ধা বাবার কবরের ওপর টয়লেট নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে তারই কাস্টমস কর্মকর্তা ছেলের বিরুদ্ধে। তবে খবর পেয়ে স্থানীয়রা টয়লেটটি ভেঙে দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

জানা গেছে, উপজেলার বারুনিঘাট এলাকায় মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সাত্তারের মৃত্যুর দুই বছরের তার মাথায় কবর দখল করে তার ছেলে কাস্টমস ইন্সপেক্টর আবদুর রউফ খান টয়লেট নির্মাণ করেন।তবে কবর দখল করে প্রাচীর তুললেও রোববার বিকালে স্থানীয় জনগণ ও মুক্তিযোদ্ধারা তা ভেঙে দিয়েছেন।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সাত্তার গত ২০১৭ সালের মারা যান। মৃত্যুর পর তার কবর বাদে ১২ শতক জমি দুই ছেলে ও দুই মেয়ে ভাগ বাটোয়ারা করে নেন।মুক্তিযোদ্ধার কোটায় তার দুই ছেলে ও এক মেয়ে সরকারি চাকরিও লাভ করেন। তাদের মধ্যে কাস্টমস ইন্সপেক্টর আবদুর রউফ খান বর্তমানে বগুড়ায় কর্মরত।

বড় ছেলে স্থানীয় কাবাষট্টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক আসাদ খান মুনির অভিযোগ করেন, তার বাবার মৃত্যুর দুই বছর পার না হতেই ছোট ভাই আবদুর রউফ খান কবর দখল করেন। সেখানে তিনি সেখানে টয়লেট নির্মাণ করছেন। তিনি বাধা দেয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন।এরপর বাবার কবর রক্ষায় মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতা চান আসাদ খান। বাবার সহযোদ্ধারা ঘটনাস্থলে এসে অমানবিক ঘটনাটি দেখে শাজাহানপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানান।

বিকাল ৫টার দিকে মুক্তিযোদ্ধা ও স্থানীয় মুরুব্বিরা এসে কবরের ওপর তোলা প্রাচীর ভেঙে দেন।স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা হযরত আলী জাতিরকন্ঠ কে জানান, একজন মুক্তিযোদ্ধার কবর সংরক্ষণের পরিবর্তে তারই জায়গায় তার কবর দখলের চেষ্টা খুবই ঘৃণিত কাজ।এ ব্যাপারে কাস্টমস ইন্সপেক্টর আব্দুর রউফ খান দাবি করে জানান, তিনি তার বাবার মুক্তিযোদ্ধা কোঠায় চাকরি লাভ করেননি। এছাড়া জায়গাটা পৈতৃক সূত্রে পেয়েছেন।তিনি দাবি করেন, বাবার কবর দখল করে কিছু করছেন না। মুরুব্বি ও মুক্তিযোদ্ধারা এসে সমস্যার সমাধান করে দিয়েছেন। বাবার কবর আগের মতই আছে।