মুক্তিযুদ্ধের ম্যুরাল ভাঙচুর-চট্টগ্রামে ছাত্রলীগ-যুবদলের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : চট্টগ্রাম নগরের চকবাজার এলাকায় আজ বুধবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে ছাত্রলীগের সঙ্গে যুবদলের নেতা–কর্মীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়েছে। এরপর নগরের জামালখান এলাকায় বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের আলোকচিত্র–ইতিহাসসংবলিত ম্যুরাল ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।ভাঙচুরের ঘটনার জন্য ছাত্রলীগ যুবদলকে দায়ী করলেও যুবদল অভিযোগটি অস্বীকার করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নগরের কাজীর দেউড়ি এলাকায় বিএনপির তারুণ্যের সমাবেশে যোগ দিতে বেশ কয়েকটি মিনি ট্রাকে করে যাচ্ছিলেন যুবদল ও ছাত্রদলের নেতা–কর্মীরা। মহসিন কলেজ ও চট্টগ্রাম কলেজের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় তাঁরা আপত্তিকর স্লোগান দিতে থাকেন। তখন ওই দুই কলেজের শিক্ষার্থীরা ট্রাকগুলো থামান।
এরপর দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় তাঁরা ইট–পাটকেল ছোড়েন। পরে সেখান থেকে যাওয়ার সময় যুবদলের নেতা–কর্মীরা নগরের জামালখান এলাকায় বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের আলোকচিত্র-ইতিহাসসংবলিত ম্যুরাল ভাঙচুর করেন।
জামালখান ওয়ার্ড কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন দৈনিক সত্যকথা প্রতিদিন কে জানান, জামালখান মোড়ে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের আলোকচিত্র-ইতিহাস ম্যুরালসহ সড়কের বিভিন্ন স্থানে ভাঙচুর চালিয়েছেন যুবদলের নেতা–কর্মীরা। ঘটনাস্থলে যুবদলের ব্যানার–ফেস্টুন পাওয়া গেছে।
ঘটনাস্থলে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, ফুটপাতে ছড়িয়ে–ছিটিয়ে আছে কাচের টুকরা। ফুটপাতে হাঁটার জায়গা না পেয়ে সড়কে হেঁটে চলাচল করছেন পথচারীরা।চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদুল করিম বলেন, চট্টগ্রাম কলেজ ও মহসিন কলেজের সামনে দিয়ে চার-পাঁচটি ট্রাক নিয়ে যাচ্ছিলেন বিএনপির সমর্থকেরা। একপর্যায়ে তাঁরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ স্লোগান দিতে থাকেন। তাঁদের বারণ করলে তাঁরা ট্রাক থেকেই লাঠিসোঁটা আর ইট–পাটকেল ছুড়তে শুরু করেন।
তবে কুরুচিপূর্ণ স্লোগান ও ম্যুরাল ভাঙচুরের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহেদ। তিনি বলেন, সমাবেশে আসার সময় ছাত্রলীগের কর্মীরাই তাঁদের আটকান। ফলে বাগ্বিতণ্ডা হয়। তবে এর প্রতিক্রিয়ায় কোনো পাল্টা হামলা করা হয়নি। কোনো ম্যুরাল ভাঙা হয়নি।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহিদুল কবির বলেন, চকবাজারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে জামালখান এলাকায় ভাঙচুর চালান যুবদল ও ছাত্রদলের নেতা–কর্মীরা। এ সময়ে বিদ্যালয় ছুটির সময় হওয়ায় সড়কে যানজট সৃষ্টি হয়। সাধারণ পথচারীদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়। বর্তমানে ভাঙচুরের জায়গাটিতে প্রতিবন্ধক দেওয়া হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে আছে।