মুক্তারপুর টোল প্লাজা ভাংচুরকারী রাঘববোয়ালরা বীরদর্পে ঘুরছে-ওসি ধরছেনা-মামলাও নেয়া হয়নি
এস রহমান.ঢাকা: বাংলাদেশের প্রথম ডিজিটাল কম্পিউটারাইজ্ড মুক্তারপুর টোল প্লাজা ভাংচুরকারী রাঘববোয়ালরা বীরদর্পে ঘুরছে-।ওসি তাদের কাউকেই ধরছেন না ।এমনকি মামলাও নেয়া হয়নি রহস্যজনক কারণে।ওসির ভাষ্য সেতু কর্তৃপক্ষ জিডি দায়ের করেছেন আমরা মামলা নিব কিভাবে?
কিন্তু খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সেতু কর্তৃপক্ষের উপ সহকারি প্রকৌশলী মামলা দায়েরের জন্যে লিখিত অভিযোগ নিয়ে থানায় গেলেও ওসির নির্দেশে থানার লোকজন পুনরায় লিখিত অভিযোগটি বিকৃত করে। পরে জিডি আকারে মামলাটি গ্রহণ করানো হয়। জিডিতেও মামলা দায়ের করার সর্বাত্মক উপাদান থাকলেও তা মামলা হিসেবে নেয়া হয়নি। জিডি নম্বর-৬৬০, তারিখ-১৬/৭/২০১৫ইং।
জিডিতে উল্লেখ রয়েছে, ঘটনার দিন রাত ২টা ১০ মিনিটে টোল না দিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে একটি মাইক্রোবাস। যার নম্বর-ঢাকা মেট্টো-চ-১১-০৪৫৪। ওই গাড়িতে মুন্সিগঞ্জ জেলা পরিষদ প্রশাসক বঙ্গবন্ধুর বডিগার্ড মহিউদ্দিনের মেয়েসহ স্থানীয় ছাত্রলীগের সহ সভাপতি বিপ্লবের চেলারাসহ ১৫/১৭ জন ছিলেন।
টোল না দিয়ে যাওয়াকে কেন্দ্র করে টোলপ্লাজার কলেকটর মিজানুর রহমান ও ম্য্যানেজার শাহ আলম প্রতিবাদ করলে তাদের বেদম মারধর করা হয়।হামলাকারীরা টোলপ্লাজার ডিজিটাল কম্পিউটারাইজ্ড সিস্টেম, টোলপ্লাজার যন্ত্রপাতি, কম্পিউটারসহ বিভিন্ন জিনিষপত্র ভাংচুর করে পালিয়ে যায়। এতে টোলপ্লাজার নগদ অর্থসহ ৫০/৬০ হাজার টাকার সম্পদ ক্ষতিসাধিত হয়।
ভুক্তভোগীরা জাতিরকন্ঠকে অভিযোগ করেছেন, মুক্তারপুর টোলপ্লাজা হামলাকারীরা পার পেয়ে যাচ্ছে পুলিশের সহযোগীতায়।
মুন্সিগঞ্জ সদর থানার ওসি ঘটনার চার দিন পরও মামলা দায়ের করেননি।মামলার যথেষ্ঠ আলামত থাকার পর থানার ওসি আসামীদের পক্ষ নিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।
সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয়ের নির্দেশেরও তোয়াক্কা করছেন না ওসি।ওসি মোহাম্মদ ইউনূস জাতিরকন্ঠকে জানান, তদন্ত চলছে আসামীদের ধরার তৎপরতা চালানো হচ্ছে।ঘটনায় অভিযুক্ত মাইক্রোবাসটি ঢাকা মেট্টো-চ-১১-০৪৫৪ গাড়িটি জব্দ করার চেষ্ঠা চালানো হচ্ছে।
এর আগে অপারেশনাল ডিরেক্টর জানান, বৃহস্পতিবার টোল না দিয়ে চলে যাচ্ছিল বঙ্গবন্ধুর দেহরক্ষীর ছেলে বিপ্লবের চেলারা।এনিয়ে বাকবিতন্ডা হলে তারা টোল প্লাজার ক্যাশে রক্ষিত নগদ ১৭৯০ টাকা, কম্পিউটার, আসবাবপত্রসহ মূল্যবান সামগ্রী ভাংচুর ও লুটপাট করে পালিয়ে যায়। বিপ্লবের লোকজন টোলপ্লাজার কর্মচারি মিজানুরকেও মারধর করে। ওই গাড়িটির নম্বর-ঢাকা মেট্টো-চ-১১-০৪৫৪।
টোল প্লাজায় ওই সময় কর্মরত কর্মচারি মিজানুর রহমান জানান, যে গাড়িটি টোল না দিয়ে চলে যাচ্ছিল সেটির মালিক জাতিরজনক বঙ্গবন্ধুর দেহরক্ষী মহিউদ্দিনের ছেলে বিপ্লবের।শুক্রবার রাত ৮টায় বিপ্লবের সঙ্গে কথা বলা হয়। তিনি জাতিরকন্ঠকে বলেন, ভাই এটা নিয়ে নিউজ করার দরকার নাই।টোল প্লাজার লোকজনের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে।ওদিকে বিপ্লব দাবি করেছেন গাড়িটি তার নয় এবং গাড়িটি কার তাও তিনি জানেন না।
এটা নিয়ে একটা বিচার শালিস করে দিব বলে বিপ্লব নিউজ না করার পরামর্শ দেন জাতিরকন্ঠকে।তবে বিপ্লব মুক্তারপুরের অপারেশনাল ডিরেক্টরকে জানিয়েছেন, গাড়িতে তার বোন ছিল।ভুল বোঝাবুঝির কারনে ঘটনাটি ঘটেছে।