মাশরাফি তাসকিনের ‘ব্রায়ান ব্রাদার্স’ ভালবাসা
অনলাইন ডেস্ক রিপোর্টার: শীর্ষস্থানীয় আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা এএফপির বেছে নেওয়া সেরা মুহূর্তগুলোর মধ্যেও স্থান পেয়েছে বাংলাদেশ দলের একটি উদ্যাপনের কথা। ভারতের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচটিতে অজিঙ্কা রাহানেকে আউট করার পর মাশরাফি-তাসকিনের সেই উদ্যাপনটা নিশ্চয়ই চোখে লেগে আছে ক্রিকেট প্রেমীদেরও।
রাহানেকে আউট করার পর পরই তাসকিনের দিকে দৌড়ে আসেন অধিনায়ক মাশরাফি। তারপর লাফ দিয়ে বুকে-বুকে ধাক্কা দিয়ে দুজন দুদিকে পড়ে যান। উদ্যাপনের ভঙ্গিটি দেখে এএফপি মাশরাফি-তাসকিনের নাম দিয়েছে বাংলাদেশের ‘ব্রায়ান ব্রাদার্স’। উদ্যাপনের এই ভঙ্গিটি প্রথমে জনপ্রিয় করেছিলেন টেনিসের যমজ সহোদর বব ও মাইক ব্রায়ান। তাঁরাও পয়েন্ট পেলে এমন বুকে বুক ঠুকে উদ্যাপন করেন। তাই মাশরাফি-তাসকিনের উদ্যাপনটির এমন নাম দিয়েছে এএফপি।
এ ছাড়াও সেই তালিকায় আছে আরও বেশ কিছু মুহূর্তের কথা। ইংল্যান্ড দল নিউজিল্যান্ডের ওয়েলিংটনে পৌঁছানোর পর সেখানকার মেয়র ভুল করে ইংল্যান্ড অধিনায়ক এউইন মরগানকে ডেকেছিলেন ‘এউইন রজার’ নামে। সে ঘটনারও উল্লেখ আছে তালিকায়। পরে মরগান মজা করে বলেছিলেন, ‘আমাকে আরও বিচিত্র নামে ডাকা হয়ে থাকে।
মেয়র তো আমার নামের কঠিন অংশটিই ঠিকঠাক ভাবেই বলেছেন।’ ক্রিস গেইলের ডাবল সেঞ্চুরিটাকে এএফপি নাম দিয়েছে ‘টুইটার প্রতিশোধ’। ঘটনাটি হলো, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডের প্রেসিডেন্ট ডেভ ক্যামেরন একজন ক্যারিবীয়-ভক্তের টুইট পুনরায় পোস্ট করেছিলেন। যেটাতে লেখা ছিল গেইলকে যেন একটি অবসর প্যাকেজ দিয়ে ক্রিকেট থেকে বিদেয় করে দেওয়া হয়।
তারপরের ম্যাচেই গেইল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২১৫ রানের সেই অতিমানবীয় ইনিংসটি খেলেন। আইরিশ ব্যাটসম্যান এড জয়েসের ‘বেঁচে যাওয়ার’ কথাও আছে সেই তালিকায়। আরব আমিরাতের বিপক্ষে একবার বল স্টাম্পে আঘাত করে।
কিন্তু স্টাম্পের গায়ের বাতিগুলো জ্বলে উঠলেও বেল না পড়ার কারণে আউট দেওয়া যায়নি। গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশ আর নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার ম্যাচটিতে বেড়ে গিয়েছিল পোকার আধিক্য। যন্ত্রণার মাত্রা এতটাই বেড়ে গিয়েছিল যে শেষমেশ মাঠের বাইরে থেকে আনানো হয় পোকা নিরোধক বিশেষ স্প্রে। এই ঘটনার উল্লেখও আছে সেই তালিকায়।
কোয়ার্টার ফাইনালে পাকিস্তান-অস্ট্রেলিয়ার ম্যাচে লড়াই জমে উঠেছিল পেসার ওয়াহাব রিয়াজ এবং ব্যাটসম্যান শেন ওয়াটসনের মধ্যে। ওয়াহাব রিয়াজের সেই দুর্দান্ত ওভারটির উল্লেখও আছে সেই মুহূর্তগুলোর মধ্যে। এ ছাড়া সেই তালিকায় স্থান পেয়েছে ট্রফি হাতে নিয়ে ক্লার্কের বিদায়, ডাইভ দিয়ে একটি বাউন্ডারি বাঁচাতে গিয়ে পাকিস্তানি পেসার ইয়াসির শাহের ট্রাউজার খুলে যাওয়ার মতো ঘটনাগুলো।
আরেকটি মজার ঘটনার এএফপি নাম দিয়েছে ‘দক্ষিণ আফ্রিকানের হাতেই খুন দক্ষিণ আফ্রিকা’! সেমিফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার হেরে যাওয়ার কথা তো জানেন নিশ্চয়ই। আর সেদিন প্রোটিয়া বধের নায়ক ছিলেন গ্রান্ট এলিয়ট। যেই গ্রান্ট এলিয়টের জন্মই কিনা দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে!