• শনিবার , ২৩ নভেম্বর ২০২৪

মাশরাফির বাউন্সারে ইন্ডিয়ার সাংবাদিক-


প্রকাশিত: ২:০৩ পিএম, ২ জুলাই ১৯ , মঙ্গলবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১১২ বার

স্পোর্টস রিপোর্টার : এবার মাশরাফির বাউন্সারে ‘থ’ বনে গেছেন ভারতের অন্যতম শীর্ষ ইংরেজি দৈনিক ‘দ্য টেলিগ্রাফে’র প্রধান ক্রিকেট করেসপনডেন্ট লোকেন্দ্র প্রতাপ শাহী। আজ মঙ্গলবার ভারতের বিপক্ষে হাইভোল্টেজ ম্যাচের আগের দিন (সোমবার) সংবাদ সম্মেলনে একটি বাউন্সার মেরেছিলেন মাশরাফির দিকে। বলেছিলেন,ক্রিকেট থেকে রাজনীতিতে এসে ছক্কা হাঁকিয়েছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। তিনি এখন নিজের জেলা নড়াইল-২ আসন থেকে নির্বাচিত সাংসদ। দেশজুড়ে তার তুমুল জনপ্রিয়তা। সেই মাশরাফিকে এজবাস্টনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ওই ভারতীয় সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, ‘আচ্ছা মাশরাফি, আগামী ১০-১৫ বছর পর আমরা কি আপনাকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখবো?’

একসময়ের সম্ভাবনাময় বোলিং অল-রাউন্ডার মাশরাফি খুব ভালোভাবেই সামাল দিলেন ভারতীয় সাংবাদিকর সেই বাউন্সার। একমাত্র সাংসদ কাম অধিনায়ক হিসেবে বিশ্বকাপ খেলছেন মাশরাফি। সুতরাং ক্রিকেটের সঙ্গে রাজনৈতিক প্রশ্ন আসতেই পারে। তাও আবার ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ বলে কথা।ভয়-ডর, সংকোচ, জড়তা যার অভিধানে নেই, সেই মাশরাফিও যেন খুব লজ্জা পেলেন। চোখ মুখে রাজ্যের লজ্জা এনে রসিকতায় ভরা জবাব দিলেন, ‘আপনি কি আমাকে মেরে ফেলতে চান?’ টাইগার অধিনায়কের এমন উত্তরে হাসির রোল পড়ে যায় সংবাদ সম্মেলন কক্ষে।

এরপর মাশরাফি টস বিষয়ক প্রশ্নের উত্তর দেন। এরপর ওই ভারতীয় সাংবাদিক আবারও জানতে চাইলেন। এবার বাংলাদেশ অধিনায়কের সোজা উত্তর, ‘ওহ, মোটেও না (প্রধানমন্ত্রী হওয়া প্রসঙ্গে)।’এদিকে আগে দেখা যেত, ঢাকায় ভারতীয় দল খেলতে গেলে বাংলাদেশের সাংবাদিকদের কাছ থেকে এটা ওটা জেনে, এর ওর সম্পর্কে ধারণা নিতেন ভারতীয় সাংবাদিকরা। এবার সে ধারা পাল্টেছে। বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের ইমেজ অনেক বদলেছে। তারাও স্টারের মর্যাদা পাচ্ছেন এখন।

ভারতের অন্যতম শীর্ষ ও অভিজাত ইংরেজি দৈনিক ‘দ্য টেলিগ্রাফে’র প্রধান ক্রিকেট করেসপনডেন্ট লোকেন্দ্র প্রতাপ শাহী; যিনি কলকাতা কিংবা দিল্লিতে বসে টেলিফোনে স্যার ভিভ রিচার্ডস, ইমরান খান, স্যার ইয়ান বোথাম, স্টিভ ওয়াহ, ব্রায়ান লারা, রিকি পন্টিং, ওয়াসিম আকরাম, অর্জুনা রানাতুঙ্গা, অরবিন্দ ডি সিলভা, শেন ওয়ার্নসহ ভিবিন্ন দেশের সব নামি-দামি ক্রিকেটারের ইন্টারভিউ নিতেন,

সেই শাহী যখন প্রেস কনফারেন্স শেষে উঠে ছুটে এসে মাশরাফিকে জড়িয়ে ধরেন এবং বলেন, ‘এক্সকিউজ মি, ক্যান আই হ্যাভ এ ফটোগ্রাফ উইদ ইউ?’তখন আর বুঝতে বাকি থাকে না, মাশরাফির ইমেজ এখন অনেক বেশি উজ্জ্বল আর বড়। মাশরাফির সঙ্গে থাকা বাংলাদেশ দলের মিডিয়া ম্যানেজার রাবিদ ইমাম আর নিরাপত্তারক্ষী প্রায় না করে দিয়েছিলেন। কিন্তু মাশরাফি ঠিক প্রেসবক্সের বাইরে এক কোনায় গিয়ে লোকেন্দ্র প্রতাপ শাহীর অনুরোধ রক্ষা করেন।