মাত্র ৪২ দিন মি.ফিজের-পাশে সারা দেশবাসী
আসমা খন্দকার : মাত্র ৪২ দিনেই সুস্থ হয়ে উঠবেন মুস্তাফিজ।এরপর তাকে নেটে যেতে লাগবে আর ৪২ দিন।এ অপেক্ষায় পুরো দেশ থাকবে মি. ফিজের পাশে। এজন্য মুস্তাফিজও ভয় পায়নি?
অস্ত্রোপচার কক্ষে হাসিমুখেই ঢুকেছেন মুস্তাফিজ। তার আগে শল্যবিদ অ্যান্ড্রু ওয়ালেসের পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তুলেছেন।কেনসিংটনের বুপা ক্রমওয়েল হাসপাতালের শল্যবিদ অ্যান্ড্রু ওয়ালেস ‘সুসংবাদ’টি দিয়েছেন কাল লন্ডন সময় বিকেল সাড়ে চারটার দিকে। ৩টা ৪০ মিনিটে শুরু করে অস্ত্রোপচার শেষ করতে লেগেছে ৫০ মিনিটের মতো।
এরপর ঘণ্টা দুয়েক অস্ত্রোপচার কক্ষেই ছিলেন মুস্তাফিজ। পরে নিয়ে যাওয়া হয় বেডে। পর্যবেক্ষণের জন্য কাল রাতটা হাসপাতালে রাখা হয় তাঁকে। ৪৮ ঘণ্টা পর আরেকবার পর্যবেক্ষণ শেষে আগামী বুধবারের মধ্যে দেশে ফেরার কথা তাঁর। তবে ডা. ওয়ালেস এসব ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবেন আজ সকালে মুস্তাফিজের অবস্থা দেখার পর।
এ ধরনের অস্ত্রোপচারের পর খেলায় ফিরতে সাধারণত পাঁচ-ছয় মাস লাগলেও অস্ত্রোপচারের আগে ওয়ালেস জানিয়েছেন, মুস্তাফিজ নেটে ফিরতে পারবেন ১২ সপ্তাহের মধ্যে। বর্তমানে লন্ডনে অবস্থানরত বিসিবির চিকিৎসক দেবাশিস চৌধুরীরও আশা, ছয় সপ্তাহের মধ্যেই পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠবেন মুস্তাফিজ। অস্ত্রোপচারের সময় অস্ত্রোপচার কক্ষে ছিলেন তিনিও।
চোটের সঙ্গে লড়াইয়ে মুস্তাফিজ পাশে পাচ্ছেন গোটা বাংলাদেশকেই। অস্ত্রোপচারের আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লন্ডনে অবস্থানরত বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসানকে ফোন করে মুস্তাফিজের খবর নিয়েছেন। বাংলাদেশের এই বিস্ময়-পেসারের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেছেন তিনি।
মুস্তাফিজকে সাহস জোগাতে বিসিবি সভাপতি কাল সকাল থেকেই ছিলেন ক্রমওয়েল হাসপাতালে। সাংবাদিকদের তিনি বলেছেন, ‘বিসিবির কাছে প্রত্যেক খেলোয়াড়ই গুরুত্বপূর্ণ। এর আগে সাকিব-তামিমদেরও অস্ত্রোপচার হয়েছে।
তবে মুস্তাফিজ যেহেতু অনেক ছোট, মাত্রই অল্প কিছুদিন হয়েছে জাতীয় দলে খেলছে, তাই ওকে সাহস দেওয়ার জন্য এসেছি। ও আমাকে বলেছে, এমনিতে ভয় লাগে না, তবে সুচে নাকি একটু ভয় পায়।’ হাসপাতালে এসেছিলেন লন্ডনে বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার খন্দকার এম তালহাসহ আরও অনেক প্রবাসী বাংলাদেশি।