মাজারে হামলাকারী ১০০ ‘সন্ত্রাসী’ হত্যা
আন্তজার্তিক ডেস্ক রিপোর্টার : পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশে বিখ্যাত সুফি সাধক লাল শাহবাজ কালান্দারের মাজারে বোমা হামলার পর শুরু করা নিরাপত্তা অভিযানে ১০০ সন্দেহভাজন সন্ত্রাসীকে হত্যার কথা জানিয়েছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী।
বৃহস্পতিবার রাতে সিন্ধুর শেহওয়ান এলাকার ওই মাজারে চালানো আত্মঘাতী বোমা হামলায় নিহতের সংখ্যা শুক্রবার সন্ধ্যা নাগাদ ৮৩ জন ছাড়িয়েছিল, জানিয়েছে দ্য ডন, বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
তবে এনডিটিভির শনিবারের প্রতিবেদনে নিহতের সংখ্যা ৮৮ জনে দাঁড়িয়েছে বলে জানানো হয়েছে। আরো প্রায় আড়াইশ জন আহত হয়েছেন এ হামলায়, যার দায় স্বীকার করেছে জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস)।
শুক্রবার সন্ধ্যায় পাকিস্তান সেনাবাহিনীর গণমাধ্যম শাখা আইএসপিআর জানিয়েছে, নিরাপত্তা অভিযানে ১০০ সন্ত্রাসীকে হত্যা করা ছাড়াও ‘বহু সংখ্যক’ সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
কোথায় এসব সন্ত্রাসীকে হত্যা করা হয়েছে বা গ্রেপ্তারদের সম্পর্কে বিবৃতিতে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি। এসব বিষয়ে বিস্তারিত পরে জানানো হবে বলে এতে বলা হয়েছে।
“যেকোনো জায়গায়ই হোক না কেন, নির্বিচারে সব জায়গা থেকে নির্মমভাবে সন্ত্রাসীদের নির্মূল করা হবে। কোনো সময় ক্ষেপণ করা হবে না,” এক টুইটে বলেছেন সামরিক বাহিনীর এক মুখপাত্র।
এই বোমা হামলা গত দুই বছরের মধ্যে পাকিস্তানে চালানো হামলাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে প্রাণঘাতী। গত এক সপ্তাহে পাকিস্তানজুড়ে অনেকগুলো আত্মঘাতী বোমা হামলা চালানো হয়। এর মধ্যে গত সোমবার লাহোরের বোমা হামলায় ১৪ জন নিহত হন।
এসব হামলার প্রতিক্রিয়ায় দেশজুড়ে চিরুণী অভিযান শুরু করেছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ও পুলিশের সন্ত্রাস-বিরোধী বিভাগ (সিটিডি)। বুধবার পাঞ্জাবের মুলতানে এ ধরনের একটি অভিযানে জামাত উল আহরারের (জেএ) ছয় জঙ্গিকে হত্যা করে সিটিডি।
বিস্তারিত কিছু না জানিয়ে সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র মেজর জেনারেল আসিফ গফুর বলেছেন, “সাম্প্রতিক হামলাগুলোর পেছনে জড়িত নেটওয়ার্কগুলো খুঁজে বের করতে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো অগ্রগতি অর্জন করেছে।”
মাজারে বোমা হামলার পরপরই পাকিস্তান দাবি করে, আফগানিস্তানের সীমান্তজুড়ে ছড়িয়ে থাকা জঙ্গি আস্তানাগুলোতে বোমা হামলাটির পরিকল্পনা করা হয়েছে। আফগানিস্তানে সক্রিয় সন্ত্রাসী নেটওয়ার্কগুলো পাকিস্তানের সন্ত্রাসীদের সমর্থন দিচ্ছে বলে দাবি করে দেশটির সেনাবাহিনী।
মাজারে বোমা হামলার পরপরই নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখিয়ে আফগানিস্তানের সঙ্গে সীমান্ত পথগুলো বন্ধ করে দেয় পাকিস্তান। আফগানিস্তানে আশ্রয় নেওয়া ৭৬ জন ‘সন্ত্রাসীকে’ পাকিস্তানে ফেরত পাঠানোর দাবিও জানিয়েছে তারা।