• রোববার , ২৪ নভেম্বর ২০২৪

মহাসচিব সংসদে না যাওয়ায় ক্ষুদ্ধ’ওরা’


প্রকাশিত: ১০:৫১ পিএম, ৩ মে ১৯ , শুক্রবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৩৪ বার

 

বিশেষ প্রতিনিধি : মহাসচিব সংসদে না যাওয়ায় ক্ষুদ্ধ ‘ওরা’। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, প্রশ্ন উঠেছে- সবাই পার্লামেন্টে গেল মহাসচিব গেল না কেন? এটা আমার কাছেও খটকা লাগে, দলের সিদ্ধান্তে সবাই গেলে মহাসচিব যাবেন না কেন? আলাদা কারও ভালো থাকা বা আলাদা কারও হিরো হওয়ার সুযোগ নেই। তিনি কেন সংসদে যোগ দিলেন না নিশ্চয়ই সে বিষয়ে ব্যাখ্যা দেবেন।শুক্রবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ সব রাজবন্দির মুক্তির দাবিতে সভার আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী নবীন দল।শপথ প্রসঙ্গে গয়েশ্বর আরও বলেন, দলের স্থায়ী কমিটিতে শপথের বিষয়ে আমরা মতামত দিয়েছি। সিদ্ধান্তের ভার দিয়েছিলাম দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে। তিনি আমাদের শপথ নেয়ার সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সিদ্ধান্তই দলীয় সিদ্ধান্ত।

তিনি বলেন, এখন আমাদের সবচেয়ে খারাপ সময়। প্রধানমন্ত্রী লন্ডন গেছেন চোখের চিকিৎসা করাতে নাকি মনের চিকিৎসা করাতে আমি জানি না। তবে তার এ সফরের মধ্যে দিয়ে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে আরেকটি ষড়যন্ত্রের আভাস পাচ্ছি।গয়েশ্বর বলেন, প্রধানমন্ত্রী যদি জনগণের ভোটে জয়লাভ করত তাহলে তার মুখ থেকে নাবালকসূচক বক্তব্য আসত না। আর তারেক রহমানের বিরুদ্ধে যখন শেখ হাসিনা বলেন আমি তখন খুব গর্ববোধ করি। কারণ তারেক রহমান রাজনীতিতে একটা ফ্যাক্ট। তাকে নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হবে এটাই স্বাভাবিক।

তিনি বলেন, আমরা যদি ইউনাইটেড থাকি, যখন সাহস করে মাঠে নামার জন্য ডাক দেব তখন জনগণ নেমে যাবেন। দেশবাসী আমাদের সঙ্গে নামার জন্য অপেক্ষা করছেন। জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী আমরা কর্মসূচি দিলে তারা আমাদের সঙ্গে থাকবে। কারণ বিএনপি জনগণের দল। বিএনপির মধ্যে সমন্বয় নেই উল্লেখ করে বিএনপির এই নীতিনির্ধারক বলেন, আওয়ামী লীগ আর বিএনপির মধ্যে পার্থক্য আছে। শেখ হাসিনা যা বলেন, যে গ্রামে বিদ্যুৎ নেই সেখানকার চায়ের দোকানেও নেতাকর্মীরা ওই একই কথা বলেন। কিন্তু আমরা একই বিষয়ে একেকজন একেক কথা বলি। অর্থাৎ আমাদের মধ্যে চিন্তা-ভাবনার সমন্বয়ের অভাব। যে কারণে কর্মীদের মধ্যে জনগণের মধ্যে নানা সময় বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়।

সংসদে যোগদানের সঙ্গে খালেদা জিয়ার মুক্তির সম্পর্ক নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, দলীয় সিদ্ধান্তের আগে জাহিদুর রহমান শপথ নেয়ায় তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। পরবর্তীতে বাকিরা দলীয় সিদ্ধান্তে শপথ নিয়েছেন। আমাদের সংসদে যাওয়ার সিদ্ধান্ত সঠিক না বেঠিক এ জন্য অপেক্ষা করতে হবে। আমাদের সবাইকে এক সুরে কথা বলতে হবে।

গয়েশ্বর আরও বলেন, আমাদের পাঁচজন গেছেন পার্লামেন্টে। নেত্রীর কথা, দেশের কথা বলবেন। উনারা বলেছেন, জনগণের চাপ, আমরা কেউ কেউ বেকুবের মতো বলছি সরকারের চাপ। জনগণের চাপ সত্য নাকি সরকারের চাপ? আমরা এলোমেলো কথা বলে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছি।সংগঠনের সভাপতি হুমায়ুন আহমেদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানার সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন- বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, কৃষক দলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন প্রমুখ।