মহানবী (সা.) কে নিয়ে বিদ্রূপাত্মক কার্টুন-প্যারিসে শার্লি এবদু পত্রিকার অপকান্ড-বন্দুকধারীদের হামলা, নিহত ১২
আজ বুধবার এই হামলা চালানো হয়। কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বিবিসি এ তথ্য জানায়। মহানবী হজরত মুহাম্মাদ (সা.)-কে নিয়ে বিদ্রূপাত্মক কার্টুন প্রকাশ করায় ইসলামপন্থীরা এই হামলা চালিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। হামলাকারীদের ধরতে প্যারিসজুড়ে পুলিশ চিরুনি অভিযান শুরু করেছে।
সংবাদমাধ্যমে হামলাকারীর সংখ্যা প্রথমে দুজন বলে উল্লেখ করা হলেও দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বার্নার্ড কাজেন্যুভ বলেছেন, তাঁরা তিন অপরাধীকে খুঁজছেন।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদ এই হামলাকে নজিরবিহীন বর্বরোচিত সন্ত্রাসী হামলা বলে উল্লেখ করেছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন এই হামলার নিন্দা জানিয়ে অপরাধীদের ধরতে সব ধরনের সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে বিবিসি বলেছে, ম্যাগাজিনটির কার্যালয়ে সম্পাদকীয় বৈঠক চলছিল। সেখানে প্রধান সম্পাদক স্টিফেন সার্বোনার এবং তিন কার্টুনিস্ট কেবু, টিগনাস, উলিনস্কিসহ অন্য কর্মকর্তারা বৈঠক করছিলেন।
বেনোয়িত ব্রিঞ্জার নামের একজন প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় একটি টেলিভিশনকে বলেছেন, তিনি অটোমেটিক কালাশনিকোভ রাইফেল হাতে দুজন মুখোশধারীকে ওই ভবনে ঢুকতে দেখেছেন। এর কিছুক্ষণ পরই তিনি একটানা গুলির শব্দ পান।
আহত ব্যক্তিরা বলেছেন, বন্দুকধারীরা ঢুকেই নির্বিচারে গুলি চালায়। চলে যাওয়ার সময় তারা বলে যায়, এটা মুহাম্মদ (সা.)-এর অপমানের বদলা। হামলাকারীরা পালিয়ে যাওয়ার সময় ভবনের বাইরে থাকা এক ব্যক্তি মোবাইলে সেই দৃশ্য ধারণ করেন। এতে কালো পোশাক পরা দুই ব্যক্তিকে একজন পুলিশের ওপর গুলি ছুড়তে দেখা যায়।
সাপ্তাহিক ম্যাগাজিনটি সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রতিবেদন বা কার্টুন প্রকাশ করে আগেই বিতর্কিত হয়ে উঠেছিল।
পত্রিকাটি সম্প্রতি এক টুইট বার্তায় ইসলামিক স্টেট (আইএস) নেতা আবু বকর আল-বাগদাদীর বিদ্রূপাত্মক কার্টুন প্রকাশ করে।
এর আগে ২০১১ সালের নভেম্বরে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে ব্যঙ্গাত্মক চিত্র প্রকাশ করার পরদিন ওই পত্রিকার অফিসে বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। সম্পাদককে প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হয়। তখন থেকে সম্পাদক পুলিশ পাহারায় চলাফেরা করছিলেন।