মশা মরে না মরে না যে কারণে রে..
বিশেষ প্রতিনিধি : ৩ ফুট দূর থেকে স্প্রে, তবু মরল না ৭৮ শতাংশ মশা মরেনি। কারণে শমার ছিটানো অষুধ অকার্যকর। ডেঙ্গুর প্রকোপ যখন বেড়েই চলেছে, তখন নতুন ওষুধের কার্যকারিতা নিয়ে মাঠপর্যায়ে পরীক্ষা চালিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। গতকাল শুক্রবার সকালে নগর ভবনের ফটকের সামনে তিনটি খাঁচার প্রতিটিতে ৫০টি করে মশা রেখে এই পরীক্ষা চালানো হয়।ডিএসসিসি সূত্রে জানা যায়, নতুন ওষুধ ছিটানোর পর ৩০ মিনিটের পরীক্ষা শেষে খাঁচাগুলোয় যথাক্রমে ১৮, ২২ ও ২৬ শতাংশ মশা মারা গেছে। অর্থাৎ তিনটি খাঁচায় মাত্র ২২ শতাংশ মশা মরেছে। খাঁচার তিন ফুট দূরত্ব থেকে ওই নতুন ওষুধ ছিটানো হলেও ৭৮ শতাংশ মশা মরেনি।
ডিএসসিসি কর্মকর্তারা বলেন, গতকাল নগর ভবনের ফটকের সামনে মশারি দিয়ে তিনটি খাঁচা তৈরি করা হয়েছে। প্রতিটিতে ৫০টি করে মশা রেখে খাঁচা থেকে তিন ফুট দূরত্ব থেকে ফগার মেশিন কাঁধে নিয়ে সিটি করপোরেশনের একজন মশকনিধনকর্মী খাঁচার দিকে ওষুধ ছিটান। এ সময় পাশে থাকা প্রত্যেককে মুখোশ ব্যবহার করতে দেখা গেছে।সিটি করপোরেশনের ব্যবহার করা ওষুধে মশা মরে না। এ নিয়ে বিস্তর সমালোচনার মধ্যে নতুন ওই ওষুধের মাঠপর্যায়ের পরীক্ষা চালানো হলো।
ডিএসসিসি সূত্রে জানা যায়, মশা নিধনের ওই ওষুধ নিয়ে আসা হয় বিদেশ থেকে। তা এখন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর্যায়ে আছে। ‘বায়ার করপোরেশন’ কোম্পানির এই মশার ওষুধের ৩০ মিনিট পরীক্ষা শেষে সর্বোচ্চ ২২ শতাংশ মশা মারা গেছে। পরীক্ষার ২৪ ঘণ্টা শেষে মাঠপর্যায়ে ওষুধের গুণগত মানের চূড়ান্ত ফলাফল জানা যাবে।এ সময় ভারতের কলকাতা থেকে আসা গবেষক দলের সদস্য শুভ দে জানান, মশার ওষুধ বৃষ্টির মধ্যে ছিটানো যাবে না। এ ছাড়া ১৫ কিলোমিটার বেগে যখন বাতাস প্রবাহিত হয়, তখনো মশার ওষুধ ছিটানো থেকে বিরত থাকতে হবে।
প্রসঙ্গত, সারা দেশে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। প্রথমে রাজধানীবাসী এই রোগে আক্রান্ত হলেও এখন তা ছড়িয়ে পড়েছে দেশের ৬৪ জেলায়। বিভিন্ন জেলায় শনাক্ত হওয়া ডেঙ্গু রোগীর অধিকাংশই ঢাকায় আক্রান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। এমন পরিসিস্থিতিতে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের ব্যবহার করা ওষুধে মশা মরে না বলে অভিযোগ ওঠে।