মঈনের বিষমাখা ঘূর্ণি:ডুবলো ভারত
স্পোর্টস রিপোর্টার : মঈনের বিষমাখা ঘূর্ণিতে এবার ভারত ডুবলো।মসাউদাম্পটনে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জয়ের জন্য ভারতের প্রয়োজন ছিল ২৪৬ রান। খেলতে নেমে ২২ রানেই তিন উইকেট হারিয়ে অঘটনের আভাস দিলেও বিরাট-রাহানের শত রানের জুটি দেখাচ্ছিল জয়ের আশা। কিন্তু না, বিরাটের পতনের সঙ্গে সঙ্গে মঈন আলীর ঘূর্ণিতে পতন ঘটলো ভারতের।
স্পিন বল মোকাবেলায় তালিকার প্রথমে রাখা হয় ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের। বিশ্বের বাঘা বাঘা স্পিনাররাও ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের কাছে বারবার ব্যর্থ হয়েছেন। কিন্তু ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ভারতের চতুর্থ টেস্টে হারের পেছনের মূল কারিগর একজন স্পিনার!চতুর্থ টেস্টে পান্ডিয়া-ঋষভদের আসা যাওয়ার মিছিলে শেষ পর্যন্ত ৬০ রানে পরাজয় বরণ করে নেয় ভারত। সঙ্গে সিরিজও খোয়ান কোহলিরা। পাঁচ ম্যাচ টেস্ট সিরিজে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিজেদের করে নেন স্বাগতিক ইংল্যান্ড।
প্রথম দুই টেস্টে হারের পর তৃতীয় টেস্টে এসে দাপুটে জয় কোহলিদের প্রত্যাশার পারদ বাড়িয়ে দিয়েছিল কয়েকগুণ। সাউদাম্পটনে জয় কিংবা ড্র যেকোনো একটি হলেই সিরিজে থাকতেন রবি শাস্ত্রীর শিষ্যরা। কিন্তু ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় সব আশার সলিল সমাধি ঘটে।হারের পর ভারতীয় কাপ্তান বিরাটের অকপট স্বীকারোক্তি, ‘চাপের মুখে ইংল্যান্ড আমাদের তুলনায় অনেক সাহসী।’ তার কণ্ঠে ইংলিশ খেলোয়াড়দের প্রশংসাস্তুতি। ম্যাচ শেষে কোহলি আরও বলেন, ‘তাদের নিচের সারির ব্যাটসম্যানদের অবদান ছিল চোখে পড়ার মতো।’
এদিকে ভারতীয় দলের প্রধান কোচ রবি শাস্ত্রী আক্ষেপের সুরে বলেন, ‘ভারতীয় ক্রিকেট ইতিহাসে এখনকার পেস অ্যাটাকই সেরা।’ তবে শাস্ত্রী মনে হয় ভুলে গেছেন, বিরাট কোহলি ছাড়া উপমহাদেশের বাইরে ভারতীয় এ ব্যাটিং লাইনআপ সবচেয়ে দুর্বল। ভারত কোচের কাছে ২৪৬ রানের টার্গেট বড় ছিল না, জয়ের জন্য পারফেক্টই ছিল। কিন্তু এর জন্য দুই থেকে তিনজন ব্যাটসম্যানের অবদান প্রয়োজন বলে মনে করেন শাস্ত্রী।
বাকি তিন টেস্টের মতো চতুর্থ টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসেও অ্যান্ডারসনের গতিতে নাকানি-চুবানি খেয়েছেন ভারতীয় টপঅর্ডার ব্যাটসম্যানরা। শুরুতেই অ্যান্ডারসন-ব্রডের আঘাত কোহলি-রাহানের ব্যাটিংয়ে কাটিয়ে উঠলেও মঈন আলীর আঘাতে বিধ্বস্ত হন কোহলিরা।ভারতীয় অধিনায়ককে সাজঘরে পাঠিয়ে ক্ষান্ত হননি মঈন, ক্রিজে থিতু হওয়া আরেক ব্যাটসম্যান রাহানেকেও কোহলির পথ অনুসরণ করতে বাধ্য করেন। এ দুজনের মাঠের বাইরে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ম্যাচও হাত থেকে বেরিয়ে যায় ভারতের।
ম্যাচসেরা হয়েছেন জয়ের নায়ক মঈন আলী। তিনি নিয়েছেন ৯ উইকেট। তবে স্যাম কারানও বাহবা পাবেন। প্রথম ইনিংসে তার অনবদ্য ৭৮ রানের ইনিংসেই ম্যাচে ফিরিয়ে আনে ইংল্যান্ডকে। আগামী ৯ তারিখ লন্ডনে সিরিজের শেষ ও পঞ্চম টেস্ট অনুষ্ঠিত হবে। এ টেস্টে জয় দিয়ে সিরিজ হারের ক্ষত কিছুটা হলেও ঘুচাতে চাইবে ভারত।