• মঙ্গলবার , ২৬ নভেম্বর ২০২৪

ভয়ংকর ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ বাংলাদেশে সতর্কতা


প্রকাশিত: ১:৪২ পিএম, ২৮ এপ্রিল ১৯ , রোববার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১৫৮ বার

স্টাফ রিপোর্টার : ভয়ংকর ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ থেকে রক্ষা পেতে বাংলাদেশে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় ‘ফণীর’ প্রভাবে রোববার (২৮ এপ্রিল) থেকে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হতে পারে। দেশের অনেক জায়গায় তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে।বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া গভীর নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড় ‘ফণীর’ সৃষ্টি হয়েছে। জলবায়ু বিশেষজ্ঞ ও আবহাওয়া বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রচণ্ড শক্তি সঞ্চয় করে ‘ফণী’ বাংলাদেশে আঘাত হানতে পারে। নিরক্ষীয় ভারত মহাসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি সামান্য উত্তর দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে।

ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কায় দেশের সব কটি সমুদ্রবন্দর ও কক্সবাজার উপকূলে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত নৌযানগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বঙ্গোপসাগরে না যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে আজ সিলেট ও ময়মনসিংহ এবং ঢাকার বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। কুমিল্লা, নোয়াখালী, রাজশাহী, রংপুর ও খুলনা বিভাগের কয়েকটি স্থানে কালবৈশাখী ও বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। বেশ কয়েকটি স্থানে শিলাবৃষ্টিও হতে পারে।

শনিবার (২৮ এপ্রিল) রাত আটটায় ঘূর্ণিঝড়টি চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ১ হাজার ৯৫৫ কিলোমিটার, কক্সবাজার থেকে ১ হাজার ৮৫৫, মোংলা থেকে ১ হাজার ৯২৫ ও পায়রা থেকে ১ হাজার ৮৮৯ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছিল।এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সাগর তীরের আট দেশের আবহাওয়া দপ্তরের নির্ধারিত তালিকা থেকে এই অঞ্চলের ঝড়ের নাম দেওয়া হয়। বাংলাদেশের প্রস্তাবিত নাম থেকে এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম হয়েছে ‘ফণী’।

গতকাল শনিবার (২৭ এপ্রিল) সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল খুলনা ও যশোরে ৩৭.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল রংপুরের তেঁতুলিয়া ও ডিমলায় ২১.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া, গতকাল ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫.৫, ময়মনসিংহে ৩২.৭, চট্টগ্রামে ৩৪.২, সিলেটে ৩১.২, রাজশাহীতে ৩৫.৬, রংপুরে ৩৩.০, খুলনায় ৩৭.২ এবং বরিশালে ৩৬.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া গতকাল সিলেটে ৬০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়।