• শুক্রবার , ৩ মে ২০২৪

ভেজাল-অপরাধের সাজা বাড়ানো হচ্ছে


প্রকাশিত: ৪:৫৫ পিএম, ২৮ মে ১৮ , সোমবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৩৫ বার

 
স্টাফ রিপোর্টার :    বিভিন্ন অপরাধের জন্য সাজার মেয়াদ বাড়িয়ে বাংলাদেশ স্টান্ডার্ড অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউট আইন-২০১৮ 28-05-18-PM_Cabinet Meeting-1এর খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। আজ সোমবার তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এই আইনের খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়।সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সভাশেষে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে সভার সিদ্ধান্ত জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ স্টান্ডার্ড অ্যান্ট টেস্টিং ইনস্টিটিউট (বিএসটিআই) চলছে ১৯৮৫ সালের করা অধ্যাদেশে। সেটাকে এখন সংশোধন করে নিয়ে আসা হয়েছে। প্রস্তাবিত আইনে শাস্তি বাড়ানো হয়েছে। তিনি কয়েকটি ধারায় শাস্তি বাড়ানোর তথ্যও তুলে ধরেন। সেগুলো হলো—

প্রস্তাবিত আইন অনুযায়ী লাইসেন্স ব্যতিরেকে স্টান্ডার্ড মান ব্যবহার করলে অনধিক দুই বছরের কারাদণ্ড বা অনাদায়ে ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবে। তবে এই অর্থদণ্ড ২৫ হাজার টাকার নিচে হবে না। বর্তমানে এই অপরাধের জন্য অনূর্ধ্ব ৬ মাস ও অনধিক ১৫ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে।

প্রস্তাবিত আইন অনুযায়ী নিবন্ধন ব্যতিরেকে কোনো জিনিস ব্যবহার করলে তা বাজেয়াপ্ত করার সুযোগ রাখা হয়েছে।
রপ্তানি নিষিদ্ধ পণ্য রপ্তানি সংক্রান্ত লাইসেন্সের শর্ত লঙ্ঘন করলে আগে শাস্তি ছিল অর্থদণ্ড সহ এক বছরের কারাদণ্ড বা উভয় দণ্ড। প্রস্তাবিত আইনে তা করা হয়েছে ১ বছরের কারাদণ্ড অথবা অনধিক ৫০ হাজার টাকা জরিমানা। তবে এ জরিমানা ১০ হাজার টাকার কম হবে না।

প্রস্তাবিত আইন অনুযায়ী কতিপয় পণ্য বিক্রয় বিবরণ বিতরণ ও বাণিজ্যিক বিজ্ঞাপন সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন লঙ্ঘন করলে চার বছরের কারাদণ্ড বা অনধিক দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হবে, তবে এ অর্থদণ্ড ৫০ হাজার টাকার নিচে হবে না। বর্তমানে কারাদণ্ড চার বছর থাকলেও জরিমানা এক লাখ টাকা, তবে কমপক্ষে ৭ হাজার টাকা।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, অন্যান্য নামে আরেকটি ধারা যুক্ত করা হয়েছে। এই ধারা অনুযায়ী কোনো ব্যক্তি যদি এই আইন বা তাঁর আলোকে প্রণীত বিধি বা প্রবিধান লঙ্ঘন করে তাহলে তা অপরাধ বলে গণ্য হবে। সে ক্ষেত্রে আইনের কোনো ধারায় যদি না ফেলা যায় তাহলে অনধিক এক লাখ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করা হবে, তবে তা ২৫ হাজার টাকার নিচে নয়। প্রস্তাবিত আইন অনুযায়ী কেউ যদি একই অপরাধ পুনরায় করেন তাহলে সাজা হবে দ্বিগুণ।এ ছাড়া আজকের বৈঠকে জাতীয় পাটনীতি-২০১৮ এর খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আগের আইনটি ধরেই নতুন আইনে কিছু সংযোজন করা হয়েছে।