• রোববার , ২৪ নভেম্বর ২০২৪

ভূমিদস্যু থেকে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চান বিহারীরা


প্রকাশিত: ৪:০৭ পিএম, ১৪ জুলাই ১৯ , রোববার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১৬৮ বার

মিরপুর প্রতিনিধি : ভূমিদস্যু থেকে বাঁচতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চান মিরপুরের বিহারীরা। তারা বলেছেন,মিরপুরের মিল্লাত ক্যাম্পে ৬০ ফিট প্রসস্থ রাস্তার দক্ষিণ প্রান্তে স্থানীয় ব্যবসায়ী হাজী এনায়েত, ভুমিদস্যু শহিদুল্লাহর ছেলে কাশেম, আজিজুল্লাহর ছেলে সুমন, হাজী ওফাজ রাস্তার ২০ ফিট জায়গায় উপর ৬ তলা অবৈধ ভবন নির্মান করেছে। তাদের স্বার্থে সিটি করপোরেশন ৬০ ফিট প্রশস্ত রাস্তাকে ২০ ফিট সরু বানিয়েছে। সেই সকল অবৈধ ভবন না ভেঙ্গে সিটি করপোরেশন বিহারীদের সাথে বৈষম্যমূলক আচরন করছেন।

এর প্রতিবাদে বিহারীরা মুখে কালোকাপড় বেঁধে মানববন্ধন করে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের পক্ষপাতমূলক উচ্ছেদ নোটিশের প্রতিবাদ করেছে। দুপুরে রাজধানীর প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশী বিহারী পূনর্বাসন সংসদ (বিবিআরএ) মিল্লাত ক্যাম্প শাখা “ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন কর্তৃক বিহারীদের প্রতি বৈষম্য ও পক্ষপাতমূলক আচরন এবং আমানবিক উচ্ছেদ নোটিশের প্রতিবাদে” মুখে কালো কাপড় বেধে মানব বন্ধন করে।প্রতিবাদকারীরা ছিল রাজধানীর পল্লবী থানাধীন মিরপুর ১১/বি এর মিল্লাত ক্যাম্পের বাসিন্দা।

বিবিআরএ এর মিল্লাত ক্যাম্প শাখার সভাপতি শেখ আলী ঈমাম পাপ্পু মানব বন্ধনে সভাপতিত্ব করেন। কর্মসূচীতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিবিআরএ এর কেন্দ্রীয় সভাপতি জনাব কাওসার পারভেজ ভুলু।ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এর পক্ষপাতমূলক, একপেশে ও অমানবিক উচ্ছেদ নোটিশের বিরুদ্ধে দুঃখ ও ক্ষোভে মুখে কালো কাপড় বেঁধে প্রেস ক্লাবের রাস্তায় দাড়িয়ে ছিলো মিল্লাত ক্যাম্পের বিহারীরা।

অভিযোগে জানা গেছে, গত ১১.০৭.২০১৯ (বৃহস্পতিবার) ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এর মেয়র আতিকুল ইসলাম মিরপুর-১১ এর বি ব্লকে মিল্লাত ক্যাম্পে উপস্থিত হয়ে ৩ দিনের মধ্যে রাস্তার ১৫ ফিট জায়গায় উপর থাকা মিল্লাত ক্যাম্পের সকল ঘর ভেংগে ফেলার নির্দেশ দেন। কোনরূপ পূনর্বাসনের ব্যবস্থা না করেই ক্যাম্পের ৭০/৭৫ টি অসহায় পরিবারের অমানবিক মৌখিক উচ্ছেদ নোটিশের প্রতিবাদে ক্যাম্পের বিহারীগণ গত (১২.০৭.১৯) শুক্রবার রাত্রে মিরপুর এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করে। রাত্রের ঐ মিছিলে নেতৃত্ব দিয়েছেন বিবিআরএ এর প্রধান পৃষ্ঠপোষক জনাব নেয়াজ আহমদ খান।

বিহারীদের সাথে আলাপে জানা গেছে যে, একই ৬০ ফিট প্রসস্থ রাস্তার দক্ষিণ প্রান্তে স্থানীয় ব্যবসায়ী হাজী এনায়েত, ভুমিদস্যু শহিদুল্লাহর ছেলে কাশেম, আজিজুল্লাহর ছেলে সুমন, হাজী ওফাজ রাস্তার ২০ ফিট জায়গায় উপর ৬ তলা অবৈধ ভবন নির্মান করেছে। তাদের স্বার্থে সিটি করপোরেশন ৬০ ফিট প্রশস্ত রাস্তাকে ২০ ফিট সরু বানিয়েছে। সেই সকল অবৈধ ভবন না ভেঙ্গে সিটি করপোরেশন বিহারীদের সাথে বৈষম্যমূলক আচরন করছে।

মিরপুর-১১ এর চিলড্রেন পার্ক দখল করে সেখানে নিজের নামে “নান্নু মার্কেট” বানিয়েছেন স্থানীয় ৫ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আব্দুর রউফ নান্নু। মিল্লাত ক্যাম্পের নিকটেই অবস্থিত মিরপুর-১০ এর এ ব্লকে ২টি চিলড্রেন পার্ক ও ৫ (পাঁচ) বিঘার মাঠ দখল করে বহু তলা অবৈধ ভবন বানিয়ে ভোগ করছে স্থানীয় ভূমিদস্যু ও প্রভাবশালীরা। ঐ সকল সরকারী জায়গা জমি উদ্ধার না করে মজলুম ও অসহায় ক্যাম্পবাসীদের বিরুদ্ধে উচ্ছেদ ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হওয়ায় উর্দ্ধভাষী বিহারীগণ ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের কঠোর সমালোচনা করেছেন।

মিরপুর-১০, ১১, ১২ এলাকায় একটি সংঘবদ্ধ ভূমিদস্যু চক্র বিহারী ক্যাম্প সমূহের জায়গা জমি হাতিয়ে নেয়ার জন্য গত প্রায় ২ যুগ যাবত সক্রিয় রয়েছে। প্রশাসন ভূমিদস্যু চক্রের পক্ষ নেয়ায় সাধারণ মানুষ প্রতিবাদ করতে ভয় পায়।মানব বন্ধন হতে মিল্লাত ক্যাম্পবাসীগন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের সকল পর্যায়ের কর্মকর্তাগণকে বিহারীদের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়ার আহবান জানিয়েছেন। সরকারের পক্ষ হতে পূনর্বাসনের ব্যবস্থা না করা পর্যন্ত উচ্ছেদ কার্যক্রম বন্ধ রাখার দাবী জানিয়েছেন ক্যাম্পবাসী বিহারীগণ।