• মঙ্গলবার , ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

ভারতের বিদায়ে জুতা মিছিল টিএসসিতে- বাঁধ ভাঙা উল্লাস


প্রকাশিত: ১১:২৭ পিএম, ২৬ মার্চ ১৫ , বৃহস্পতিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৬৮ বার

india-tsc-www.jatirkhantha.com.bdস্টাফ রিপোর্টার.ঢাকা:
আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ-২০১৫ এর সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে অপমানজনক রানে হেরে ভারতের বিদায়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে বাঁধ ভাঙা উল্লাস আর আনন্দ মিছিল উদযাপন করছে বাংলাদেশের ক্রিকেট প্রেমীরা।
একই সাথে আইসিসি ও ভারত বিরোধী বিভিন্ন স্লোগানসহ জুতা মিছিল করেছে তারা।

বৃহস্পতিবার বিকেলে মেলবোর্নে ভারতের শেষ উইকেট পড়ার সাথে সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল থেকে আনন্দ মিছিল নিয়ে টিএসসিতে এসে জড়ো হয় ক্রিকেট প্রেমীরা। ভারতের কাছে অস্ট্রেলিয়া জিতলেও মনে হচ্ছে এ বিজয় যেন বাংলাদেশের।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি জসিম উদ্দিন হলের শিক্ষার্থী সাইফ জানান, আইসিসির সহযোগিতা নিয়ে দুই একটি ম্যাচ জেতা সম্ভব। কিন্তু বিশ্বকাপ জেতা সম্ভব না।

120436_1-1অসিদের কাছে নতজানু হতে হলো –

কোয়ার্টার ফাইনালে আম্পায়ারদের বিতর্কিত সিদ্ধান্তে বাংলাদেশকে হারিয়ে খুব সহজেই সেমিফাইনালে ওঠে ভারত। টিম ইন্ডিয়ার জয়ের পেছনে অনবদ্য ভূমিকা পালন করেন দুই বিতর্কিত আম্পায়ার আলিম দার ও ইয়ান গোল্ড। কিন্তু স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এই দুই আম্পায়ারকে পেলেন না ধোনি-কোহলিরা। তাই অসিদের কাছে ঠিকই নতজানু হতে হলো তাদের।

ফল- সেমিতে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৯৫ হারে হেরে বিদায় নিশ্চিত হয় ভারতের। দলের শেষ ভরসা হয়ে ওঠা অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনিও কাটা পড়লেন রানআউটে। ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে অসহায় ‘ক্যাপ্টেন কুল’কেই দেখলেন সবাই। জানালেন, অস্ট্রেলিয়ার ছুঁড়ে দেওয়া ৩২৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করা বড্ড কঠিনই।

প্রথমেই প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়ার প্রশংসা ঝরল ধোনির কণ্ঠে, ‘অস্ট্রেলিয়া ভালো ক্রিকেট খেলেছে। তিনশ’র বেশি রান তুলেছে। এই লক্ষ্য তাড়া করা আসলেই কঠিন। জবাবে ব্যাট করতে নেমে আমাদের শুরুটা ভালো ছিল। কিন্তু অসি বোলাররা ভালো বোলিং করেছে। পেসাররা রিভার্স সুইং পেয়েছে। তবে এই ম্যাচ বাদ দিলে বিশ্বকাপের শুরুটা আমাদের জন্য ছিল দারুণ।’ জ্বলে উঠতে থাকা শিখর ধাওয়ানকে হারিয়ে বিপদে পড়ে ভারত। শুরুটা যে ভালোই করেছিলেন তিনি।

এরপর বাকি ব্যাটসম্যানরা চাপ নিতে পারেননি। অধিনায়ক ধোনির ভাষায়, ‘আমাদের ইনিংসের শুরুটাও অবশ্য ভালোই ছিল। তবে শিখরকে হারিয়ে আমরা ব্যাকফুটে চলে যাই। এরপর অস্ট্রেলিয়ার বোলাররা আমাদের চেপে ধরেছে। এই অবস্থায় বিগ শট খেলতে যাওয়া ঠিক নয়। কিন্তু সেটা না করেও যে কোনো উপায় ছিল না। কেননা লক্ষ্যটা অনেক বড়।’ ব্যক্তিগত ৬৫ রানের মাথায় রানআউট হন ধোনি।

এই রানআউটই তাকে তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে। ম্যাচ শেষে আক্ষেপের সুরে তিনি বলেন, ‘তিনশ’র বেশি রান তাড়া করতে গিয়ে ‘রানআউট’ হওয়া আসলেই কষ্টের। আমাদের লোয়ার অর্ডারের ব্যাটসম্যানরা তেমন ভালো করতে পারেনি। যে কারণে আমরা হেরে যাই।’