বড়দিন-গির্জায় কড়া-নিরাপত্তা
বিশেষ প্রতিনিধি : খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব বড়দিন উপলক্ষে রাজধানী ঢাকা ও সারা দেশের গির্জায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে আজ সকাল থেকে ২৬শে ডিসেম্বর সকাল পর্যন্ত রাজধানীর ৭৫ গির্জায় বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হবে। রাজধানী জুড়েও নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা জানান, সারা দেশে প্রায় দুই শতাধিক গীর্জা রয়েছে। এসব গীর্জায় বড়দিন উদ্যাপনের প্রস্তুতি এখন শেষ পর্যায়ে। দেশের অন্তত ৬ লাখ খ্রিষ্টান দিনটি উদ্যাপন করবে।
এরই মধ্যে ঢাকার ছোট-বড় অন্তত ৭৫ গীর্জা বড়দিনের সাজে সেজেছে। বড়দিন উপলক্ষে শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। কাল দুপুরে খ্রিষ্টান নেতৃবৃন্দের বঙ্গভবনে প্রেসিডেন্ট অ্যাডভোকেট আবদুল হামিদের সঙ্গেও শুভেচ্ছা বিনিময়ের কথা রয়েছে।
বড়দিন উপলক্ষে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (ডিসি-মিডিয়া) মো. মাসুদুর রহমান জাতিরকন্ঠকে বলেন, বড়দিন উপলক্ষে ২৪শে ডিসেম্বর সকাল থেকে ২৬শে ডিসেম্বর সকাল পর্যন্ত রাজধানীর ৭৫ গীর্জায় পুলিশ মোতায়েন করা হবে। সংখ্যা কম-বেশি হতে পারে। এছাড়া রাজধানী জুড়েও নিরাপত্তা জোরদার করা হবে। আশা করি খ্রিষ্টান সম্প্রদায় নির্বিঘ্নে ধর্মীয় বড়দিনটি পার করতে পারবেন।
বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় গীর্জা (অংশগ্রহণকারীর দিক থেকে) রাজধানীর ফার্মগেটের পবিত্র জকমালা চার্চ।
আজ রোববার ও আগামীকাল সোমবার বড়দিনে এ চার্চেই সবচেয়ে বেশি খ্রিষ্টান নারী-পুরুষ-শিশু প্রার্থনায় মিলিত হবেন। গীর্জার ফাদার কমল কোরাইয়া জাতিরকন্ঠকে বলেন, বড় দিনের প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে। ২৫শে ডিসেম্বরের আগের দিন রোববার পড়েছে। এদিনটি খ্রিষ্টানদের সপ্তাহের বড়দিন। এদিন সন্ধ্যা ৮টায় এবং রাত ১১টায় প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হবে।
এছাড়া ২৫শে ডিসেম্বর ৭টায় প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হবে। আর সকাল ৯টায় পরবর্তী প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হবে। এই দিনের দ্বিতীয় প্রার্থনাটি পরিচালনা করবেন কার্ডিনাল পেট্রিক ডি রোজারিও। প্রার্থনার পর খ্রিষ্টান সম্প্রদায় নিজেদের আত্মীয়-স্বজন ও পাড়া-প্রতিবেশির বাড়িতে আতিথেয়তা গ্রহণ করবে। কুশল বিনিময় করবে। একে অন্যকে বড়দিনের উপহার দেবে। আর এদিন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতে বড়দিনের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন অন্তত সহস্রাধিক আমন্ত্রিত খ্রিষ্টান নেতৃবৃন্দ।
নিরাপত্তার বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে তিনি বলেন, পুলিশ যথাযথ নিরাপত্তা জোরদার করছে। কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার শঙ্কাবোধ করছি না। আশা করি প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও নির্বিঘ্নে বড়দিন উদযাপন করা সম্ভব হবে।