ব্ল্যাকমানি থেকে মৌসুমী হামিদের মাস্তানি
এস রহমান : লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে ২০১০ সালে মিডিয়াতে আসেন মৌসুমী হামিদ। শুরুতে ছোটপর্দায় কাজ করলেও মন ছিলো বড়পর্দায়। আর এ কারণে গেল দু’বছর ধরে বড়পর্দায় নিজের উপস্থিতি জানান দেয়ার চেষ্টায় ছিলেন মৌসুমী। অবশেষে ‘ব্ল্যাক মানি’র হাত ধরে চলচ্চিত্র অঙ্গনে পা রাখেন তিনি।
‘ব্ল্যাক মানি’ সম্পর্কে মৌসুমী বলেন, প্রথম ছবিতে প্রত্যাশার চেয়ে প্রাপ্তিটা অনেক বেশি। এতটা কখনও আশা করিনি। প্রথম ছবি নিয়ে সবার মতো আমার মধ্যেও শংকা ছিলো। কিন্তু প্রথমদিন যখন হলে ঢুকলাম সব শংকা কেটে গেল।
ভারতের রামোজি ফিল্ম সিটিতে ‘পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেম কাহিনী টু’ ছবির শুটিং শেষ করে গত ৫ আগস্ট দেশে ফেরেন তিনি। ছবিটি সম্পর্কে তিনি বলেন, ওইখানে মূলত আমার অভিনীত দুটি গানের চিত্রধারণ করা হয়েছে।
‘ব্ল্যাক মানি’ ছবিতে ‘চার দেয়ালের কামরাতে’ শিরোনামের একটি গানে শরীরি উপস্থাপনা নিয়ে ইতিমধ্যে মৌসুমী বেশ বিতর্কিত হয়ে ওঠেন।অনেকে তাকে ময়ূরীর সঙ্গে তুলনা করেও ছাড়েন।
এ সম্পর্কে মৌসুমী বলেন, আসলে কোন শিল্পীই অহেতুক শরীরি উপস্থাপনা চায় না।
ছবির গল্প ও পরিচালকের চাহিদা অনুযায়ী এমন দৃশ্যে অভিনয় করাতে আমি দোষের কিছু দেখি না। তাছাড়া গানটিতে কুৎসিত কিছু ছিলো না।
২০১৩ সালে প্রথম ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার পর থেকেই ছোটপর্দায় কম কাজ করছেন মৌসুমী। তবে বিশেষ দিবস কেন্দ্রীক নাটকগুলোতে মৌসুমী অভিনয় অব্যাহত রেখেছেন। । সর্বশেষ ‘না মানুষ’ এর পর প্রশান্ত অধিকারীর পরিচালনায় ও সরকারি অনুদানে নির্মিত ‘হাডসনের বন্দুক’ ছবিতে আপনি অভিনয় করেন মৌসুমী। দীর্ঘদিন হলেও ছবিটি এখনও মুক্তিপায়নি।
সব মিলিয়ে দশটির মতো ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। এর মধ্যে সাফি উদ্দিন সাফির ‘পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেম কাহিনী টু’; হাসান ফুয়াদের ‘লুকোচুরি প্রেম’; মাসুম পারভেজ রুবেলের ‘মিশন সিক্স’ প্রমুখ।
এদিকে গতকাল শুক্রবার তাঁর মুক্তি পেয়েছে মাস্তানি ছবিটি। কিন্তু ছবির কোনো কোনো পোস্টারে মৌসুমীকে ঠিক চেনা যায় না। এর কারণ সম্পর্কে মৌসুমী হামিদ বলেন, ছবিটি নিয়ে আমি কোনো কথাও বলতে চাই না। আমি খুবই বিরক্ত।
আমার ডাবিং অন্যজনকে দিয়ে করানো হয়েছে। আমি কিছু জানিই না। পরিচালক ফিরোজ খান বলছেন, আমি নাকি বিদেশে ছিলাম, এ জন্য অন্যকে দিয়ে করানো হয়েছে।
আমি তো মাত্র ছয় দিন দেশের বাইরে ছিলাম। পরিচালকের কথাবার্তা আমার কাছে রহস্যজনক মনে হয়েছে।
সিনেমার পোস্টারের ছবির সঙ্গে আপনার চেহারা মিললেও পোস্টারে আপনাকে কেমন যেন দেখাচ্ছে! এ সম্পর্কে তিনি বলেন, হ্যাঁ, দেখেছি তো।
এটা আরেক কেলেঙ্কারি। আমার কাছে মনে হয়েছে প্রযোজক-পরিচালক মিলেই ঘটনাটি ঘটিয়েছেন। আমি বিষয়টি নিয়ে তাঁদের প্রশ্ন করেছিলাম। তাঁরা বলেন, আমার স্টিল ছবি (আলোকচিত্র) খুঁজে পাওয়া যায়নি।
আবার বলেন, পরিবেশকেরা এটি করেছেন। অথচ শুটিংয়ের সময় কিন্তু অনেক ছবি তোলা হয়েছিল।
এটা আসলে এমন একটা ঘটনা, যা নিয়ে আমার কিছুই বলার নেই। আমি আমার অভিনয় জীবনের এই অধ্যায়টা ভুলে যেতে চাই। এই ছবির কথা মনেও রাখতে চাই না। কারও বিরুদ্ধে কোনো কঠোর পদক্ষেপ নিতে চাই না।