ব্লুমবার্গ বিশ্লেষণ আবারও ক্ষমতায় শেখ হাসিনা
বিশেষ প্রতিনিধি : বিশ্বখ্যাত সংবাদ সংস্থা ব্লুমবার্গ বলেছে, ফের জিতবে শেখ হাসিনা এবং ৪র্থ বারের মত সরকার গঠন করবে। কারণ হিসেবে তারা বলেরেছ, বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক সঙ্কটের মধ্যেও সময়োচিত সংস্কার পদক্ষেপের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছেন।এর জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করেছে বিশ্বখ্যাত সংবাদ সংস্থা ব্লুমবার্গ। বাংলাদেশে আগামী সাধারণ নির্বাচনে তার নেতৃত্বাধীন সরকার চতুর্থ মেয়াদে নির্বাচিত হবে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছে সংবাদ সংস্থাটি।
আন্তর্জাতিক অর্থ বিষয়ক এই সংবাদ সংস্থার এক নিবন্ধে বলা হয়েছে, তিনি (শেখ হাসিনা) টানা চতুর্থ মেয়াদে জয়ী হবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।একই সঙ্গে শেখ হাসিনাকে পুরো তহবিল পেতে আরও সংস্কার করতে হবে বলেও পরামর্শ দেয়া হয়েছে নিবন্ধে।
নিবন্ধটিতে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনার বিজয়ের কারণ কেবলমাত্র তার অনেক প্রতিপক্ষ কারাগারে আছেন বা আইনী ফাঁদে পড়েছেন-এটা নয় বরং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে তার সাফল্যের কারণেই এটা ব্যাপকভাবে প্রত্যাশিত।
আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে দক্ষিণ এশিয়ার দেশটির সময়োপযোগী সংস্কারের জন্য আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণ প্রাপ্তির পটভূমিতে ব্লুমবার্গ দু’টি উপ-শিরোনামসহ ‘বাংলাদেশ লিডার বেটস আইএমএফ-ম্যান্ডেটেড রিগর উইল পে অফ ইন পোলস’ শিরোনামের নিবন্ধটি প্রকাশ করে। এতে বলা হয়, পুরো তহবিল পেতে শেখ হাসিনাকে আরও সংস্কার করতে হবে। নির্বাচনে তিনি টানা চতুর্থবারের মতো জয়ী হবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
ব্যালট বাক্সে পরাজিত হওয়ার ভয়ে বিশ্বজুড়ে সরকারি দলের নেতারা প্রায়শই আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের সঙ্গে সম্মত সংস্কার বাস্তবায়নে পিছিয়ে পড়ছেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের মতো নন।
নিবন্ধে আরও বলা হয়েছে, তার দ্রুত আইএমএফ ম্যান্ডেটের বাস্তবায়ন দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটি ঘুরে দাঁড়িয়েছে যেখানে পাকিস্তান এখনও জ্বালানি ভর্তুকি নিয়ে দুরবস্থার মধ্যে রয়েছে। শ্রীলঙ্কা স্থানীয় পৌরসভা নির্বাচন বিলম্বিত করেছে, কারণ, তারা গত সপ্তাহে আইএমএফ তহবিল পেতে কর এবং সুদের হার বাড়িয়েছে। গত জুলাই মাসে আইএমএফের সহায়তা চাওয়া দক্ষিণ এশিয়ার তিনটি দেশের মধ্যে সর্বশেষ ছিল বাংলাদেশ। দেশটি দ্রুত জ্বালানি মূল্য বৃদ্ধির পর প্রথম ঋণ অনুমোদন পেয়েছে। ৭৫ বছর বয়সী শেখ হাসিনা এই পদক্ষেপ নিতে কোনো কুণ্ঠাবোধ করেননি।