• রোববার , ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের ঘোষণা


প্রকাশিত: ৩:৩৮ পিএম, ২৪ জুন ১৬ , শুক্রবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৫৪ বার

লন্ডন থেকে সাইফুল ইসলাম   :   ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে যাওয়ার পক্ষে 111গণভোটে রায় আসায় দেশটির প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। শুক্রবার ভোটের ফল প্রকাশের পর ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় লন্ডনের ১০ নং ডাউনিং স্ট্রিটের বাইরে স্ত্রী সামান্থাকে পাশে রেখে এ ঘোষণা দেন ডেভিড ক্যামেরন।

তিনি বলেন, জনগণের নতুন নির্দেশনার আলোকে দেশকে এগিয়ে নিতে পরিচালকের ভূমিকা পালন করা তার জন্য সঙ্গত নয়।এ সময় ধরা গলায় ক্যামেরন বলেন, আমি এই দেশকে ভালোবাসি এবং এ জন্য যা কিছু করণীয়, তার সব কিছুই আমি করব।

kamaron-www.jatirkhantha.com.bdইইউ ছাড়ার পক্ষে গণভোটে রায় আসার ব্যাপারে তিনি বলেন, ব্রিটিশ জনগণের ইচ্ছা এমন এক নির্দেশ, যা অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে। ক্যামেরন জানান, আগামী অক্টোবরে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া কনজারভেটিভ পার্টির কনফারেন্সে দলের নতুন নেতৃত্ব নির্বাচিত হবে। এ সময় পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালন করে যাবেন।

তিনি বলেন, আমাদের এখন ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে পুনরায় সমঝোতা করার জন্য প্রস্তুত হতে হবে। এজন্য দৃঢ় স্বংকল্প ও প্রতিজ্ঞাবদ্ধ নেতৃত্ব প্রয়োজন।ইইউ ছেড়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়ার পর যুক্তরাজ্যের নতুন নেতৃত্ব প্রয়োজন বলেও মন্তব্য করেন ক্যামেরন।

ক্যামেরনের ঘোষণার আগে অবশ্য ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফিলিপ হেমন্ড বলেছিলেন, ইইউ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পক্ষে গণভোটে রায় এলেও ডেভিড ক্যামেরনই প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকবেন।তিনি বলেছিলেন, ক্যামেরনই প্রধানমন্ত্রী থাকবেন, তিনিই ব্রিটিশ জনগণের নির্দেশনাকে বাস্তবায়ন করবেন।

এদিকে ইউউকে বেরিয়ে যাওয়ার পক্ষে ভোট দেয়ার পর নাটকীয়ভাবে পড়ে গেছে ব্রিটিশ মুদ্রা পাউন্ড স্টার্লিংয়ের মান।শুক্রবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত খবরে পাউন্ডের মান ১০ শতাংশ কমে গেছে। ১৯৮৫ সাল থেকে এ পর্যন্ত কখনও এতো নিচে নামেনি পাউন্ডের দাম।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের সাধারণ নির্বাচনে দ্বিতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার আগে ডেভিড ক্যামেরন ঘোষণা দিয়েছিলেন, তিনি নির্বাচিত হতে পারলে ইইউতে থাকা প্রশ্নে গণভোট করবেন।

প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার এই গণভোট অনুষ্ঠিত হয়। বিবিসি জানিয়েছে, ব্রিটিশ জনগণের ৫২ শতাংশ ইইউ ছাড়ার পক্ষে ভোট দিয়েছেন। অন্যদিকে ইইউতে থাকার পক্ষে ভোট দিয়েছেন ৪৮ শতাংশ ভোটার।