• সোমবার , ২৫ নভেম্বর ২০২৪

ব্যাংক লুটেরাদের ছাড় দেয়া হবেনা- দুদক চেয়ারম্যান


প্রকাশিত: ৬:১৬ পিএম, ২৬ মে ১৬ , বৃহস্পতিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ২৯৭ বার

স্টাফ রিপোর্টার   :   দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, ‘কতিপয় লোক ব্যাংক থেকে জনগণের আমানত নিয়ে গেছে, সম্পদ লুট করেছে। তাদের ছাড়া dudok-ikbal mahamud-www.jatirkhantha.com.bdহবে না, সে যে-ই হোক। ব্যাংক থেকে অর্থ লোপাটকারীদের রেহাই নেই।’আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে দুদক চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন। চট্টগ্রাম বিভাগের মহানগর, জেলা ও উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটিগুলোর মধ্যে ২০১৫ সালের সেরা চারটি কমিটিকে পুরস্কার দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেন, ‘আগামী জুলাই থেকে দেশের তিনটি খাত শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও ব্যাংকের প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি বন্ধে ক্রাশ প্রোগ্রাম শুরু হচ্ছে। এ বিষয়ে গণমাধ্যমসহ সবার সহযোগিতা চাই। দেশে শিক্ষার মান কমেছে। বিসিএস পরীক্ষায় যোগ্য লোক পাওয়া যায় না। গ্রেস দিয়ে পাস করাতে হয়। এ লজ্জা রাখার জায়গা নেই। শিক্ষার মান বাড়াতে এ খাতের দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে।’ নির্ধারিত সময়ে দুদকের অনুসন্ধান ও তদন্ত শেষ না হওয়াকেও দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেন তিনি।

চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন দুদকের মহাপরিচালক মো. শামসুল আরেফিন, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. রুহুল আমীন, চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. ইকবাল বাহার ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন মোহাম্মদ আবুল হোসাইন। স্বাগত বক্তব্য দেন দুদক চট্টগ্রামের পরিচালক আবদুল আজিজ ভূঁইয়া।

অনুষ্ঠানে দুদকের মহাপরিচালক মো. শামসুল আরেফিন বলেন, দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটিগুলো সারা দেশে বিনা পারিশ্রমিকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কাজ করে যাচ্ছে। এই অবদান গভীর শ্রদ্ধার। দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি ও সততা সংঘগুলো তরুণ প্রজন্মের ভেতরে দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান তৈরি করছে। দুর্নীতিবাজ ও অন্যায়ের জন্য শাস্তি পাওয়া ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সমাজে ঘৃণা তৈরি করতে হবে।

বিভাগীয় কমিশনার মো. রুহুল আমীন বলেন, দেশের সব খাতে সমান দুর্নীতি হচ্ছে না। কোন কোন খাতে সাধারণ মানুষকে সেবা পেতে বেশি ভোগান্তির শিকার হতে হয়, সেটি বের করা প্রয়োজন। গোপন জরিপের মাধ্যমে এটি বের করা সম্ভব। তাহলে ওই খাতকে অগ্রাধিকার দিয়ে দুর্নীতি দমনের কাজটি সহজে করা যাবে।অনুষ্ঠানে জেলা পর্যায়ে কুমিল্লা ও উপজেলা পর্যায়ে বাঁশখালী, চকরিয়া ও কসবা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটিকে শ্রেষ্ঠ হিসেবে পুরস্কার দেওয়া হয়।