• সোমবার , ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

ব্যক্তি পর্যায়ে করমুক্ত আয়সীমা ৭ লাখের প্রস্তাব আইসিএসবি’র


প্রকাশিত: ৮:৫৯ পিএম, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২৩ , বৃহস্পতিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৭৩ বার

স্টাফ রিপোর্টার : ব্যক্তি পর্যায়ে করমুক্ত আয়সীমা বাড়ানোর প্রস্তাব ব্যক্তি পর্যায়ে করমুক্ত আয়সীমা ৩ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে করে ৭ লাখ টাকা করার প্রস্তাব জানিয়েছে ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড সেক্রেটারিজ অব বাংলাদেশ (আইসিএসবি)।আর্থিক নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে প্রাক-বাজেট আলোচনা সভায় এনবিআর।বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে রাজস্ব ভবনের সভাকক্ষে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সঙ্গে প্রাক-বাজেট আলোচনায় এ প্রস্তাব জানায় প্রতিষ্ঠানটি।

এ সময় আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে সব ধরনের কৃষিজাত ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যকে উৎসে কর কাটার আওতা বহির্ভূত রাখার প্রস্তাব দেয় আইসিএসবি। এছাড়া ব্যক্তি পর্যায়ে করমুক্ত আয়সীমা ৩ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে করে ৭ লাখ টাকা করার প্রস্তাব দেয়া হয়। পাশাপাশি ফেসবুক, গুগলসহ অন্যান্য জনপ্রিয় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের আয়কে করের আওতায় আনার জন্য স্থানীয় এজেন্ট নিয়োগের বিধান প্রবর্তনের প্রস্তাব করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

সভায় ডিজিটাল ইকোনমির আয়ের ওপর কর আরোপ প্রসঙ্গে আইসিএমএবি প্রেসিডেন্ট মো. আবদুর রহমান খান বলেন, আয়কর আইন অনুযায়ী বাংলাদেশে স্থায়ী অফিস না থাকলে কোনো বিদেশি কোম্পানিকে কর পরিশোধের আওতায় আনার বিধান নেই। তবে প্রযুক্তিগত উন্নয়নের ফলে স্থায়ী স্থাপনা না রেখে বিদেশি কোম্পানিগুলো ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ব্যবসা করে যাচ্ছে।

এছাড়া ভ্যাট আইনের মতো আয়কর আইনে স্থানীয় এজেন্ট নিয়োগের বিধান করা হলে বিদেশি কোম্পানি স্থানীয় এজেন্ট রাখবে ও এটি তাদের বাংলাদেশের স্থানীয় স্থাপনা বলে বিবেচিত হবে বলে জানান তিনি। এতে তারা বাংলাদেশে অর্জিত আয়ের ওপর কর প্রদানে বাধ্য থাকবে।

নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ওপর উৎসে কর প্রত্যাহারের বিষয়ে আবদুর রহমান আরও বলেন, চাল, ডাল, আটা, ময়দাসহ সব ধরনের কৃষিজাত পণ্যে ২ শতাংশ হারে উৎসে কর কর্তনের বিধান রয়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ওপর করের বোঝা চাপিয়ে দেওয়া হলে তা সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে।

এ বিষয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম জানান, রাজস্ব ব্যবস্থাপনায় আধুনিকায়নের কাজ চলছে। তাড়াহুড়ো করে কোনো নীতি জনগণের ওপর চাপিয়ে না দিয়ে বরং ধীরে ধীরে সহনীয় পরিবর্তন আনায় বিশ্বাস করে এনবিআর।এসময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আইসিএবি, বাংলাদেশ ভ্যাট প্রফেশনাল ফোরাম, আরনেস্ট অ্যান্ড ইয়ং অ্যাডভাইজরি সার্ভিসেস লিমিটেডের নেতারা।