ফিল্ডিংই আমাদের ক্ষতিটা করেছে কিন্তু আমাদের বোলারদের বোলিং প্রত্যাশা অনুযায়ী ছিল। আশা করি, পরের ম্যাচে আমরা ভালো কিছু নিয়ে ফিরব।
লাহিরু থিরিমান্নে, তিলকারত্নে দিলশান ও কুমার সাঙ্গাকারা-শ্রীলঙ্কার এই তিন ব্যাটসম্যানই আউটের সুযোগ দিয়েছিলেন। রুবেল হোসেনের বলে তাসকিন আহমেদ কেবল থিরিমান্নের ক্যাচটিই লুফে নিতে পেরেছেন; বাকি সব সুযোগ নষ্ট করেন ফিল্ডাররা।
দিলশান-থিরিমান্নের ১২২ রানের উদ্বোধনী জুটি শূন্য রানে শেষ হয়ে যেতে পারত কিন্তু মাশরাফির করা প্রথম ওভারের চতুর্থ বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়েও এনামুল হকের ব্যর্থতায় বেঁচে যান থিরিমান্নে। এরপর নবম ওভারে মাশরাফির বলে থিরিমান্নের তোলা ক্যাচ মুশফিক ও এনামুল কেউই মুঠোয় নিতে পারেননি।
৩৩তম ওভারে তাসকিনকে ফিরতি ক্যাচ দেন সাঙ্গাকারা; কিন্তু সুযোগটি কাজে লাগাতে পারেননি তাসকিন। নিজের দ্রুততম শতক পাওয়া সাঙ্গাকারা তখন ২৩ রানে ব্যাট করছিলেন। ৪২তম ওভারে আবারো সাঙ্গাকারার ক্যাচ অযথা লাফিয়ে ওঠা মুমিনুলের মুঠো গলে বেরিয়ে যায়। শ্রীলঙ্কার এই বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যানকে আর লাগাম পরানো যায়নি।
৪৩তম ওভারে রান আউট করা যেত দিলশানকে। তাসকিনের লো ফুলটস বল এক্সট্রা কাভারে ঠেলে দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এক রান নিতে দৌড়েছিলেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। এনামুলের সরাসরি থ্রোতে উইকেট ভাঙেনি, মুশফিকও এগিয়ে আসেননি তা ভাঙতে।
বাংলাদেশের ফিল্ডারদের ব্যর্থতার সুযোগ কাজে লাগিয়ে শতক তুলে নেন শ্রীলঙ্কার দুই ব্যাটসম্যান দিলশান ও সাঙ্গাকারা। তবে প্রতিপক্ষের এই দুই ব্যাটসম্যানের প্রশংসা করতে ভোলেননি মাশরাফি।দিলশান এবং সাঙ্গাকারা বড় মাপের খেলোয়াড়, আজ তারা আমাদের সেটা দেখিয়েছে।
৩৩৩ রানের লক্ষ্যে নেমে বাংলাদেশের শুরটাও ভালো হয়নি। রানের খাতা খোলার আগে বিদায় নিয়ে দলকে বিপদের মুখে ঠেলে দেন উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল।এরপর ছোট ছোট জুটিতে প্রতিরোধের চেষ্টা করেছেন মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসানরা কিন্তু শেষ পর্যন্ত বড় রান তাড়া করতে গিয়ে খেই হারিয়েছেন তারাও।দিনশেষে তাই শ্রীলঙ্কা ম্যাচে নিজেদের পারফরম্যান্সের মুল্যায়নে মাশরাফি বলেন, জয় ছাড়া আপনি কোনো কিছুই চিন্তা করতে পারেন না।