বেহাল কক্সবাজার মেরিনড্রাইভ
কক্সবাজার প্রতিনিধি : বেহাল অবস্থা কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভ। উত্তাল সমুদ্রের ঢেউয়ের আঘাতে ভাঙন ধরেছে কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভ সড়কের টেকনাফ অংশের কয়েকটি স্থানে। এর ফলে জোয়ারে সড়ক তলিয়ে লোকালয়ে লবণাক্ত পানি প্রবেশের আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।দ্রুত সংস্কারের ব্যবস্থা না নিলে মেরিন ড্রাইভ সড়ক পথে কক্সবাজারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার শঙ্কায় রয়েছেন টেকনাফবাসী।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) সকালের জোয়ারে টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের মেরিন ড্রাইভ সড়কে জিরো পয়েন্টের পশ্চিম মুন্ডার ডেইল এলাকার প্রায় অর্ধশত মিটার সড়ক ঢেউয়ের তোড়ে একপাশে ভেঙে গেছে। এর আগে গত দুই দিনের বাড়ন্ত জোয়ারের পানিতে টেকনাফের একই ইউনিয়নের বাহারছড়া থেকে হাদুরছড়া পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটারে সাত-আটটি স্থানে সড়কের অংশ ভেঙে পড়েছে। তা ছাড়া দক্ষিণ মুন্ডার ডেইল এলাকায় একাধিক স্থানে মেরিন ড্রাইভ ভাঙনের কবলে পড়ে।
স্থানীয় এলাকাবাসী বলছেন, বৈরী আবহাওয়া ও ভরা কাটালের কারণে সমুদ্রের পানির উচ্চতা স্বাভাবিকের চেয়ে বাড়ছে। জোয়ারে বাড়ন্ত পানির তোড়ে সড়ক রক্ষায় ব্যবহার করা জিও ব্যাগ দেবে গেছে। ফলে জিও ব্যাগ ডিঙিয়ে সড়কের বেশ কয়েকটি অংশ গ্রাস করছে সাগর।তাদের মতে, সড়কের নিকটবর্তী এলাকা থেকে বালু তুলে জমি ভরাট করায় সাগরে সামান্য পানি বাড়লেই সড়ক ভাঙনের কবলে পড়ে।
সাবরাংয়ে বাহারছড়ার বাসিন্দা রেজাউল করিম বলেন, এর আগে কখনো এভাবে ভাঙন ধরেনি মেরিন ড্রাইভে। সাগরের ঢেউয়ের উচ্চতা বেড়ে যাওয়ায় ঢেউ বড় হয়ে এসে আছড়ে পড়ছে মেরিন ড্রাইভে। জিও ব্যাগ টপকে ঢেউগুলো সড়কে ওঠায় সড়কটি ভাঙনের কবলে পড়ছে।সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মোহাম্মদ সেলিম বলেন, সাগরের ঢেউয়ের তোড়ে মেরিন ড্রাইভের বেশ কয়েকটি স্থানে ব্যাপক ভাঙন ধরেছে। অন্যবারের তুলনায় এবারের ভাঙন আশঙ্কাজনক।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ কামরুজ্জামান এই প্রতিবেদক কে বলেন, বৈরী আবহাওয়ার কারণে সাগরের জোয়ারের পানির উচ্চতা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি। এ বাড়ন্ত পানির তোড়ে মেরিন ড্রাইভের টেকনাফ অংশের কয়েকটি স্থানে ভাঙন ধরেছে। ভাঙন রোধে ইতিমধ্যে সেনাবাহিনী কাজও শুরু করছে। আশা করছি দ্রুত সময়ে এ সমস্যার সমাধান হবে।কক্সবাজার থেকে টেকনাফ পর্যন্ত সমুদ্রের তীর ধরে হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে গড়ে ওঠা ৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ মেরিন ড্রাইভ সড়কের উদ্বোধন হয় ২০১৭ সালের ৬ মে। নয়নাভিরাম সড়কটি দেশের পর্যটন শিল্পের অন্যতম আকর্ষণীয় স্থান।