• শুক্রবার , ২২ নভেম্বর ২০২৪

বেতনের দাবীতে স্কুলে মূর্হমূহু মেসেজ


প্রকাশিত: ৩:৩০ পিএম, ২৫ জুন ২০ , বৃহস্পতিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৪২৫ বার

লাবণ্য চৌধুরী : বেতনের দাবীতে বেসরকারি স্কুল সমূহের মূর্হমূহু মেসেজের চাপে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন অভিভাবকরা। গত এক মাস ধরে মাধ্যমিক স্কুল সমূহ থেকে অভিভাবকদের অনবরত মোবাইলে মেসেজ দিয়ে বেতন পরিশোধ করতে বলা হচ্ছে। করোনার এ দুঃসময়ে যখন জীবিকাযুদ্ধ ক্রমেই কঠিন হয়ে উঠছে, তখন শিক্ষার্থীদের বেতন-ফি জমা দিতে অভিভাবকদের চাপ দেয়ায় সকলে মানসিকভাবে দুশ্চচিন্তাগ্রস্থ হয়ে পেছেন বলে জানিয়েছেন। একই অবস্থা ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলগুলো। একই সঙ্গে ইংলিশ মিডিয়ামে যোগ হয়েছে বাড়তি ফি দিয়ে আগামী মাসের শুরুতে নতুন সেশনে ভর্তির জটিলতা। করোনাকালের এ অবস্থায় শিক্ষার্থীদের বেতন ৫০ ভাগ কমানোর দাবি অভিভাবকদের। কিন্তু পুরো ফি আদায়ে নিজেদের অবস্থানে অটল অধিকাংশ স্কুল। বিষয়টি নিয়ে কিছুই ভাবছে না শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

মরিয়ম বেগম নামে রাজধানীর মগবাজার মধুবাগের এক অভিভাবক জাতিরকন্ঠ কে জানান, এখান শেরেবাংলা স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষকরা প্রধানমন্ত্রীর তহবিলে হাজার টাকা দান করেছেন। অথচ তারা মাসিক বেতনের দাবীতে মূর্হমূহু মেসেজ দিচ্ছেন মোবাইলে।মেসেজের চাপে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন অভিভাবকরা। গত এক মাস ধরে মাধ্যমিক স্কুল সমূহ থেকে অভিভাবকদের অনবরত মোবাইলে মেসেজ দিয়ে বেতন পরিশোধ করতে বলা হচ্ছে। করোনার এ দুঃসময়ে যখন জীবিকাযুদ্ধ ক্রমেই কঠিন হয়ে উঠছে, তখন শিক্ষার্থীদের বেতন-ফি জমা দিতে অভিভাবকদের চাপ দেয়ায় সকলে মানসিকভাবে দুশ্চচিন্তাগ্রস্থ হয়ে পড়েছেন বলে জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার ২৫ জুন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক এর সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলতে চাইলে তিনি জাতিরকন্ঠ’র কাছে এ বিষয়ে মুখ খুলছেন না। ফোন দিলে বলা হয়েছে, মিটিংয়ে। এ বিষয়ে মাধ্যমিক শাখার পরিচালক মো. বেলাল হোসাইন মিটিংয়ের উছিলায় ফোন এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। পরে তিনি জাতিরকন্ঠ কে বলেন, এ বিষয়ে ডিজি মহোদয় বক্তব্য দেবেন। পরে তিনি বলেন, বিষয়টি মন্ত্রী মহোদয়ের সঙ্গে মিটিংয়ে তুলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার চেষ্টা করা হবে।

চারদিকে দুঃসময় এখন করোনাকালের গভীর সংকট। এ সংকটে জীবনের পাশাপাশি জীবিকার জন্য লড়াই বাড়ছে। সঙ্কুচিত হয়ে আসছে অনেকেরই নিয়মিত আয়ের উৎস। সেখানে বেতনের দাবিতে স্কুলগুলি থেকে এভাবে তাড়া দেয়া হলে অভিভাবকদের মানসিক দুশ্চিন্তা আরো বাড়বে।এর আগে গত ১৭ মার্চ থেকে বন্ধ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ক্যাম্পাসে ক্লাস, পরীক্ষা নেই। অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে বেশকিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এ অবস্থায় ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলগুলো থেকে অভিভাবকদের চাপ দেয়া হচ্ছে গত ৪ মাসের বকেয়া বেতন ফি পরিশোধের। কয়েকটি স্কুল এর মধ্যে এপ্রিল, মে ও জুন মাসের ফি অর্ধেক করার ঘোষণা দিলেও অধিকাংশ স্কুলই পুরো বেতন না দিলে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধের হুমকি দিচ্ছে। অপারগ অভিভাবকরা ফি কমানোর দাবিতে করোনার মধ্যে নানা কর্মসূচি পালন করছে।

ডিপিএস এসটিএস স্কুল ঢাকা প্যারেন্টস ফোরামের সভাপতি ব্যারিস্টার ওমর ফারুক বলেন, একাধিকবার দরখাস্ত দেয়ার পরও কর্তৃপক্ষ শোনেনি। প্যারেন্টস ফোরাম তাদের সাথে বসতে চেয়েছেন কিন্তু তারা রাজি হননি।হার্ডকো ইন্টারন্যাশনাল স্কুল প্যারেন্টস ফোরামের আহ্বায়ক কল্যান ওয়াদ্দার বলেন, করোনার সময় যখন স্কুল বন্ধ তখন টিউশন ফিতে ৫০ শতাংশ ছাড় দেয়ার সঙ্গে অনেক কিছুরই দাবি জানানো হয়েছে।

এ নিয়ে সরাসরি কথা বলতে রাজি নয় স্কুল কর্তৃপক্ষ। ইমেইলে দেয়া জবাবে ডিপিএস কর্তৃপক্ষ কিস্তিতে ফি জমা দেয়ার সুযোগের কথা বলছে। পুরো বেতন পরিশোধের অবস্থানে অটল অন্য স্কুলগুলো।হার্ডকো ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের প্রিন্সিপাল ডা. জিন্নাহ বলেন, এখন ওদের সময় হয়েছে প্রমোশনের, প্রমোট করে দেব উপরের ক্লাসে। ১০ তারিখ থেকে ইনশাল্লাহ শুরু হবে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যারা যারা কষ্টে আছেন তারা যেন ব্যক্তিগতভাবে আবেদন করেন।