বিশ্বসেরা এয়ার শো’তে শেখ হাসিনা
দুবাই থেকে মোশাররফ করিম : বিশ্বসেরা দুবাই এয়ার শো’তে বাংলাদেশ কে উপস্থাপন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ ১৭ নভেম্বর রবিবার সকালে পাঁচ দিনব্যাপী ষোড়শ দ্বিবার্ষিক এয়ার শো ইভেন্ট ‘দুবাই এয়ার শো-২০১৯’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন।দুবাইয়ের ভবিষ্যত বিমানবন্দরের (দুবাই আল মাকতুম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবেও পরিচিত) দুবাই ওয়ার্ল্ড সেন্টারে এই এয়ারশোটি শুরু হয়েছে।
১৭ থেকে ২১ নভেম্বর প্রতিদিন দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত দুবাইয়ের আকাশে দ্বিবার্ষিক এই এয়ার শোটি অনুষ্ঠিত হবে। এটি বিশ্বের বৃহত্তম এবং সবচেয়ে সফল এয়ার শো এবং মধ্যপ্রাচ্য, এশিয়া ও আফ্রিকা বৃহত্তম এরোস্পেস ইভেন্ট।বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী এবং দুবাইয়ের শাসক শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুমের আমন্ত্রণে এই এয়ারশো-তে অংশ নেন। পরে তিনি দুবাই ওয়ার্ল্ড সেন্টারে দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ফ্লাইং ডিসপ্লে উপভোগ করেন।
এ বছর সারা বিশ্বের ৮৭ হাজারের বেশি ট্রেড ভিজিটর ও ১ হাজার ৩শ’র বেশি এক্সিবিটর দুবাইয়ের ভবিষ্যৎ বিমান বন্দর দুবাই ওয়ার্ল্ড সেন্টারে এ উপলক্ষে সমবেত হয়েছেন। এছাড়াও এতে ১৬০টি দেশ থেকে ১৬৫টি বিমান অংশ নিচ্ছে।এটি ২০১৭ সালে অনুষ্ঠিত এয়ার শো সাফল্যকে ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। ২০১৭ সালের এই শোতে ১১৩ দশমিক ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি মূল্যে অর্ডার পাওয়া গিয়েছিল। এর মধ্যে ছিল এয়ারবাসের কাছে ৪৩০টি বিমানের জন্য ৪৯ দশমিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ইন্ডিগো পার্টনার্স অর্ডার এবং ফ্লাইদুবাইয়ের সাথে বোয়িংয়ের ২৭ বিলিয়ান মার্কিন ডলার চুক্তি।
১৯৮৯ সালে দুবাই এয়ার শোটি প্রথম প্রদর্শিত হয়। এটি এখন বেসামরিক বিমান শিল্পের জন্য একটি বৈশ্বিক প্লাটফরমে পরিণত হয়েছে। এখানে বিশ্বের বিমান প্রস্তুতকারক এখানে তাদের প্রস্তুতকৃত নতুন মডেলের বিমান প্রদর্শন ও বিক্রয় করেন। পাশাপাশি, এখানে প্রাইভেট ও পাবলিক সেক্টরের কোম্পানিগুলো নতুন নতুন প্রযুক্তি, সুযোগ এবং এই শিল্পের প্রতিবন্ধকতাগুলো নিয়েও আলোচনা করতে পারেন।
ইউএই’র বিমান কোম্পানিগুলো বেশ কিছু নতুন অর্ডার ঘোষণা করে ও তাদের আগের চুক্তিগুলো নিশ্চিতের মাধ্যমে একে এই অঞ্চলের সবচেয়ে সফল ও বৃহত্তম প্রদর্শনিতে পরিণত করতে পারবে বলে আশা করা হচ্ছে।পরে সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে আবু ধাবির শাংরিল-লা হোটেলে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহম্মদ ইমরান আয়োজিত এক নৈশভোজে তিনি যোগ দেবেন। প্রধানমন্ত্রীর সফরকালীন সময়ে এই হোটেলেই অবস্থান করছেন।
প্রধানমন্ত্রী দুবাই এয়ার শো-২০১৯ ও অন্যান্য অনুষ্ঠানে যোগ দিতে চার দিনের সরকারি সফরে শনিবার রাতে সংযুক্ত আরব আমিরাত পৌঁছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রী ১৮ নভেম্বর আবুধাবিতে বাংলাদেশ দূতাবাসে সংযুক্ত আরব আমিরাতে কর্মরত বাংলাদেশীদের ভোটার তালিকা প্রণয়ন শুরু এবং স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণে নির্বাচন কমিশনের অনুষ্ঠান উদ্বোধন করবেন।শেখ হাসিনা সংযুক্ত আরব আমিরাতে তাঁর চার দিনের সফর শেষে ১৯ নভেম্বর দেশে ফিরবেন।