বিমান আয়াটা ‘ফ্লাইট ডাটা বিনিময়’ চুক্তি স্বাক্ষরিত
বিশেষ প্রতিনিধি : বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ও ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট এসোসিয়েশন (আয়াটা)-র মধ্যে পারস্পারিক ‘ফ্লাইট ডাটা বিনিময়’ সংক্রান্ত একটি চুক্তি গতকাল স্বাক্ষরিত হয়েছে। বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ট্রেনিং সেন্টারে এতদুপোলক্ষ্যে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বিমান পরিচালনা বোর্ড চেয়ারম্যান, এয়ার মার্শাল মুহাম্মদ এনামুল বারী প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
এ চুক্তির ফলে বিমান বিশ্বব্যাপী ফ্লাইট তথ্য ব্যবস্থাপনা পদ্ধতিতে যুক্ত হল। এই প্রোগ্রামটি বিভিন্ন এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট তথ্য বিশ্লেষণ, ফ্লাইট মনিটরিং, ফ্লাইট পরিচালন মান নিশ্চিতকরণ সংক্রান্ত তথ্য সমূহ একটি বিশ্বব্যাপী তথ্য ভান্ডারে জমা করে এবং সেখান থেকে অন্যান্য এয়ারলাইন্সের ওয়েবসাইটে এবং অন্যান্য মাধ্যমে জমাকৃত তথ্যসমূহ সরবরাহ করে থাকে।
এফডিএ·-কে এয়ারলাইন্স সেফ্টি ম্যানেজম্যান্ট সিস্টেম-এর একটি অপরিহার্য কমপোন্যান্ট হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে যেহেতু এটি সার্বক্ষণিক এয়ারলাইন্সের বর্হিগমণ, গন্তব্যের এয়ারপোর্টসমূহের বহুবিধ ঝুঁকিসমূহ এবং অন্যান্য তথ্য, ফ্লাইট পরিচালনার পূর্বেই দিয়ে থাকে।
ফ্লাইট তথ্য পর্যবেক্ষণ বিমান উড্ডয়নরত অবস্থায় উৎপন্ন তথ্যসমূহ গ্রহণ, বিশ্লেষণ এবং দৃশ্যমান করার একটি পদ্ধতি। এটি মূলতঃ সেফটি কর্মসূচি, যেটি এভিয়েশন সেফটি উন্নয়নের জন্য তৈরী করা হয়েছে।এছাড়া সেফটি ঝুঁকি চিহ্নিতকরণ এবং ফ্লাইট চলাকালীন পাইলটদেরও কার্যক্রম নিয়ম মাফিক হয়েছে কিনা, সেদিকে নজর দেয়।
২০১১ সাল থেকে বিমানেএ প্রোগ্রাম চালু হয়। এটি চালুর ফলে উড্ডয়ণকালীন নিয়ম বিচ্যুতি যেটি ২০১১ সালে ৮% ছিল সেটি ২০১৫ সালে ২% নেমে এসেছে। এটি বিমানের ফ্লাইট সেফটির উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি। বিমান তার নিজ প্রোগ্রামের মাধ্যমে আইআটা’র বিশ্বব্যাপী প্লাটফরমের সাথে যুক্ত হয়েছে।
আজকের এই অনুষ্ঠানে বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও জনাব এ. এম. মোসাদ্দিক আহমেদসহ অন্যান্য এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালকগণ এবং বিমান, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ বিমান বাহিনী, উর্দ্ধতন কর্মকর্তাগণ এবং বিমানের পাইলটগণও উপস্থিত ছিলেন।