• রোববার , ২৪ নভেম্বর ২০২৪

বিদ্যুতের পাইকারি-খুচরা মূল্য বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন


প্রকাশিত: ১০:২০ পিএম, ২৯ ফেব্রুয়ারি ২৪ , বৃহস্পতিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৩৯ বার

বিশেষ প্রতিনিধি : ভর্তুকি সমন্বয়ের অংশ হিসেবে বিদ্যুতের পাইকারি ও খুচরা মূল্য বাড়ানো শুরু করেছে সরকার। এর অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার রাতে পাইকারিতে গড়ে পাঁচ শতাংশ দাম বাড়ানোর প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয়েছে।এর আগে দুপুরে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর কথা জানিয়েছিলেন। সব বিতরণ কোম্পানির ২৩০ ও ১৩২ কেভি লাইনের জন্য পাইকারি বিদ্যুতের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে যথাক্রমে ৮ টাকা ৪৪ পয়সা এবং ৮ টাকা ৪৭ পয়সা।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, এর বাইরে ৩৩ কেভি লাইনের জন্য পিডিবির বিদ্যুতের দাম হয়েছে ৭ টাকা ৬২ পয়সা, আরইবির ৬ টাকা ২৩ পয়সা, ডিপিডিসির ৮ টাকা ৫৬ পয়সা, ডেসকোর ৮ টাকা ৫৮ পয়সা, ওয়েস্টজোনের ৭ টাকা ৪৬ পয়সা এবং নেসকোর ৭ টাকা ৪ পয়সা। পাইকারি বিদ্যুতের দাম বাড়ার সঙ্গে বাড়বে গ্রাহক পর্যায়ের বিদ্যুতের দাম।

সর্বশেষ গত বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত তিন দফায় প্রতি মাসে গড়ে পাঁচ শতাংশ করে গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়। এ ছাড়া গত বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে গড়ে আট শতাংশ বাড়ানো হয় পাইকারি পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম।আগে গণশুনানির মাধ্যমে বিদ্যুতের দাম নির্ধারণ করত এ খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে আইন সংশোধন করে বিইআরসির পাশাপাশি দাম বাড়ানোর ক্ষমতা হাতে নেয় বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। এর পর থেকে নির্বাহী আদেশে দাম বাড়াচ্ছে বিদ্যুৎ বিভাগ।

বিদ্যুতের পাইকারি বিদ্যুতের হুইলিং চার্জ ও বিতরণ সংস্থাগুলোর জন্য পাইকারি বিদ্যুতের মূল্যহার ঘোষণা করে দুটি প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছে যা ফেব্রুয়ারি মাস থেকে কার্যকর হবে।গত মঙ্গলবার বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহার করা গ্যাসের দাম প্রতি ঘনমিটারে ৭৫ পয়সা বাড়ানো হয়। একইসঙ্গে কলকারখানায় ব্যবহৃত ক্যাপটিভ বিদ্যুতের গ্যাসের দামও প্রতি ঘনমিটারে বাড়ে ৭৫ পয়সা করে।