বিজিএমইএ ভবন ভাঙার রায়-প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা কামনা
বিশেষ প্রতিনিধি : হাতিরঝিলের উপর অবৈধভাবে স্থাপিত বিজিএমইএ ভবন ভাঙার বিষয়ে উচ্চ আদালত রায় দিয়েছে সম্প্রতি। শেষ পর্যন্ত ভবন রক্ষা করা সম্ভব না হলে সরকারের কাছে অন্য জায়গায় জমি ও ভবন তৈরির খরচ দেয়ার দাবি জানাবে তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ। এ লক্ষ্যে শিগগিরই প্রধনমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত করতে চান সংগঠনটির নেতারা। একই সঙ্গে আইনি লড়াইও চালিয়ে যেতে চান তারা। এ লক্ষ্যে রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন করা হবে।
শনিবার বিজিএমইএ ভবনে সংগঠনের সাবেক ও বর্তমান শীর্ষ নেতাদের রুদ্ধদ্বার বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস, আনিসুর রহমান সিনহা, কুতুবউদ্দিন আহমেদ, কাজী মনির, টিপু মুন্সি, আনোয়ার উল আলম চৌধুরী পারভেজ, সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, আতিকুল ইসলাম, বর্তমান সভাপতি সিদ্দিকুর রহমানসহ বর্তমান ও সাবেক শীর্ষ নেতারা।
বৈঠক উপস্থিত বিজিএমইএর একজন শীর্ষ নেতা জাতিরকন্ঠকে বলেন, উচ্চ আদালতের রায় হাতে পাওয়ার পর আমরা রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আপিল করব। এর পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর সাথে আনুষ্ঠানিক সাক্ষাত করে পুরো বিষয়টি তুলে ধরব। ভবন তৈরির প্রক্রিয়ায় কবে কী হয়েছে, পুরো বিষয়ের উপর একটি পেপার তৈরি করে তা প্রধানমন্ত্রীর কাছে উপস্থাপন করা হবে। রিভিউ আবেদন খারিজ হয়ে গেলে নতুন আরেক জায়গায় জমি ও ভবন তৈরির জন্য সরকারের আর্থিক সহায়তা চাইব।
সমপ্রতি প্রধানমন্ত্রীর সৌদি আরব সফরকালে ব্যবসায়ী নেতা হিসেবে তার সফরসঙ্গী ছিলেন বিজিএমইএ’র সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান ও সাবেক সভাপতি সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন। জানা গেছে, ওই সময় তারা এ বিষয়ে করণীয় নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা করেছেন।
প্রসঙ্গত, ভুমির মালিকানাস্বত্ব না থাকা এবং ইমারত বিধিমালা ও জলাধার আইন ভঙ্গ করায় হাইকোর্ট ২০১১ সালের ৩ এপ্রিল বিজিএমইএ ভবনকে অবৈধ ঘোষণাক করে এটি ভেঙ্গে ফেলার রায় দেন। এর বিরুদ্ধে বিজিএমইএ লিভ টু আপিল করে। গত ২ জুন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ তা খারিজ করে দেন। এর ফলে ভনটি ভাঙার ক্ষেত্রে হাইকোর্টের রায়ই বহাল থাকে।